খণ্ডকৃত লাশবোঝাই ট্রলি ব্যাগ শনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব: পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ

পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সিআইডি কর্মকর্তারা বলেছেন, বাংলাদেশের নিহত এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের দেহের খণ্ডাংশ বোঝাই ট্রলি ব্যাগটি খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। কারণ দেহাংশ নিখোঁজের ২২ দিন পেরিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (৭ জুন) এ কথা বলেছেন কলকাতা সিআিইডির এক কর্মকর্তা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এ খবর জানিয়েছে। সিআইডি কর্মকর্তা বলেছেন, ২২ দিন হয়ে গেছে। ট্রলি ব্যাগটি শনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু আমাদের কর্মকর্তারা খোঁজ জারি রেখেছে। বাংলাদেশের পুলিশের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ স্বত্বেও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা নিউ টাউন এলাকার আশেপাশে দেহের খণ্ডাংশের অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছেন। যে ফ্ল্যাটে বাংলাদেশের এমপি খুন হয়েছেন সেখানে পাওয়া ফিঙ্গার প্রিন্ট মিলিয়ে দেখার পরিকল্পনা করছেন কর্মকর্তারা। গত ১২ মে চিকিৎসার কথা বলে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। পশ্চিমবঙ্গের বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে ওঠেন তিনি। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর কিছু দিন তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। এর পাঁচ দিন পরে ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনার নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন গোপাল বিশ্বাস। কিন্তু আর খোঁজ মেলেনি টানা তিনবারের এই সংসদ সদস্যের। ২২ মে হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পাশের নিউ টাউন এলাকায় সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর ফ্ল্যাটে আনারকে খুন করা হয়েছে। ঘরের ভেতর পাওয়া গেছে রক্তের ছাপ। তবে মরদেহের সন্ধান মেলেনি সেখানে। ওই হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে ভারত ও বাংলাদেশে পৃথক মামলা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতারও হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এরপর নিয়ম অনুসারে তাদের আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রিমান্ড শেষে ইতোমধ্যে আদালতের কাছে জবানবন্দিও দিতে শুরু করেছেন আসামিরা।