বাজেটের প্রধান চ্যালেঞ্জ অর্থায়ন

ড. আহসান এইচ মনসুর

৮ জুন, ২০২৪ | ১১:২০ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , দৈনিক গণঅধিকার

এবারের বাজেটের প্রধান চ্যালেঞ্জ অর্থায়ন। রাজস্বের ঘাটতি মেটানো এবং অভ্যন্তরীণ খাত থেকে অর্থ সংগ্রহ করে বাজেট বাস্তবায়ন করা। সাধারণত সরকার পরিচালনা ব্যয়ে রাজস্বের পুরো অর্থ খরচ হয়ে যায়। বিগত বাজেটে এডিপির পুরো অর্থ ঋণ করা হয়েছে। এর পরও আরও ঋণ করতে হচ্ছে। এ বছরও তা-ই হবে। এভাবে অর্থায়ন করে বাজেট বাস্তবায়ন যুক্তিসঙ্গত নয়। দেশীয় বিনিয়োগের যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, এটি বিশাল চ্যালেঞ্জ। বাজারে এর প্রতিক্রিয়া কী হয় সেটা দেখার বিষয়। সরকারকে বিদেশি অর্থায়ন বাড়াতে হবে এবং রাজস্ব বাড়িয়ে ব্যাংকিং খাতে চাপ কমাতে হবে। সরকার একটি কঠিন সময়ে বাজেট পেশ করেছে। আকার ছোট করা হয়েছে। এটা ভালো দিক। তার পরও বাস্তবায়নে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বাজেট ঘাটতি মেটাতে ব্যাংকিং খাত থেকে বড় অঙ্কের টাকা নেওয়ার কারণে মুদ্রাবাজারে অনেক বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। সুদের হার অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যেতে পারে। দেখা দিতে পারে আরও তারল্য সংকট। ব্যাংকিং খাত এখন দুর্বল, এমন অবস্থায় সরকার যদি ব্যাংক থেকে ঘাটতি মেটানোর জন্য ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ধার করে, তাহলে ব্যক্তি খাতের ঋণপ্রবাহকে ব্যাপকভাবে ব্যাহত করবে। ফলে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ হবে না। মূল্যস্ফীতি কমবে যদি সরকার তার নীতিতে অটল থাকে। যদিও বাজেটে কিছু পদক্ষেপের কারণে কিছু পণ্যের মূল্য বাড়বে। কিন্তু তা সাধারণ মানুষের জন্য নয়। যেমন- ফ্রিজসহ বেশ কিছু বিলাসী পণ্যের কথা বলা হয়েছে। হতদরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষকে কিছুটা সুবিধা দিতে প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তার আওতা বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, যা একটি ভালো দিক। তবে এর প্রকৃত ফল নির্ভর করবে সঠিকভাবে বাস্তবায়নের ওপর। যাদের জন্য এই বরাদ্দ দেওয়া হবে, তারা যথাযথভাবে পেলে সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব হবে।