সাংবাদিকদের তাদের মতো কাজ করতে দিন : ঢামেক পরিচালককে স্বাস্থ্যমন্ত্রী

কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার বা বক্তব্য দিতে পারবেন না, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানের এমন নোটিশ জারির পর তাকে ডেকে নিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, সাংবাদিকদেরকে তাদের মতো কাজ করতে দিন। তাদের সঙ্গে যেন বৈষম্য বা বিবাদ না হয়। রবিবার (৯ জুন) সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত বিএসআরএফ সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন— স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফ’র সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব। ঢামেক পরিচালকের নোটিশের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আজ সকালে পরিচালককে ফোন করেছিলাম, জানতে চেয়েছি— কেন এরকম ঘটনা হচ্ছে। আমার কাছে কিছু ভুল ইনফরমেশন আসছে। পরিচালক আমাকে বললেন, স্যার আপনার সঙ্গে আমি দেখা করবো। তিনি কিছুক্ষণ আগে আমার কাছে এসেছিলেন। আমি তাকে বলেছি— দেখেন, সাংবাদিকদেরকে তাদের মতো কাজ করতে দিন। এখানে যেন কোনও রকম বৈষম্য বা কোনও রকম বিবাদ না হয়। এটা আমি তাকে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছি।’ ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘তবে একটা কথা সত্য, আমি নিজেও ফেস করি। অনেক সময় দেখা যায়, আমরা যখন রোগী দেখি...। আমার ক্ষেত্রে আমি অনেক সাংবাদিকদের সঙ্গে...। এত বড় বড় ম্যাসিভ ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেছে, নিমতলী থেকে শুরু করে যেগুলো আমি ট্যাকেল করেছি। ওইটা একটু নিজেকে ইয়ে করে ট্যাকেল করতে হয়। সেটা আমিও তাকে (ঢামেক পরিচালক) বলেছি, এখানে যেন সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনও খারাপ আচরণ করা না হয়। এটা আমি সকালে তাকে ডেকে বলে দিয়েছি।’ কর্মস্থলে চিকিৎসকদের অনুপস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সিলেটে যাদের কর্মস্থলে অনুপস্থিত পেয়েছি, সঙ্গে সঙ্গে সাসপেন্ড করেছি। আমার পরিকল্পনা আছে— ঢাকার বাইরে কিছু হাসপাতালে যাবো। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে— কোনও না কোনোভাবে সবাই জেনে যায়, আমি আসবো। কারণ একজন মন্ত্রী যখন কোথাও যায়, তার প্রটোকল এমন থাকে... আমি বলছিলাম, দরকার হলে আমি সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে চলে যাই। তাও যাই।’ মন্ত্রী বলেন, ‘তবে আমি এ একটা কাজ করি। ধরুন আমি রংপুর যাবো। রংপুর গিয়ে প্রথম দিনই করবো না। হঠাৎ করে ওইখানে গিয়ে ডিসিশন নিয়ে আমি হাসপাতালে যাবো।’ তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসা এমন একটি বিষয়, গাফিলতি করলে একটা মানুষের জীবন চলে যায়। সুতরাং, এখানে দুইবার চিন্তা করার কোনও সুযোগ নেই। অতএব, এ ব্যাপারে কোনও গাফিলতি বা কোনও অবহেলা আমি সহ্য করবো না।’