৭ উইকেটে কানাডাকে হারিয়ে সুপার এইটে পাকিস্তান

১১ জুন, ২০২৪ | ১১:৫৭ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , দৈনিক গণঅধিকার

দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে আগেই। টানা ২ ম্যাচে জয়ের খুব কাছে গিয়েও জিততে পারেনি পাকিস্তান। তাতে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ার বড় শঙ্কায় রয়েছে দলটি। তবে তৃতীয় ম্যাচে এসে স্বস্তির জয় পেয়েছে গত আসরের ফাইনালিস্টরা। কানাডাকে হারিয়ে চলতি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে বাবর আজমের দল। মঙ্গলবার (১১ জুন) নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের 'এ' গ্রুপের ম্যাচে কানাডাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১০৬ রান করে কানাডা। জবাবে ১৫ বল হাতেই রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে পাকিস্তান। বোলারদের সৌজন্যে হাতের নাগালে পাওয়া লক্ষ্য তাড়ায় অবশ্য দেখেশুনেই শুরু করে পাকিস্তান। তবে দলীয় ২০ রানে ভাঙে তাদের ওপেনিং জুটি। চলতি আসরে এদিনই প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননি সিয়াম আইয়ুব। ডিলন হেলেগারের বলে উইকেটরক্ষক শ্রেয়াস মোভার হাতে ক্যাচ তুলে ফিরে যান ব্যক্তিগত ৬ রানে। এরপর অধিনায়ক বাবর আজমকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। দ্বিতীয় উইকেটে ৬৩ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। এ জুটিও ভাঙেন হেলেগার। বাবরকে উইকেটরক্ষক মোভার ক্যাচে পরিণত করেন। টিকতে পারেননি ফখর জামানও। তবে বাকি কাজ উসমান খানকে নিয়ে শেষ করেন রিজওয়ান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৩ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ৫৩ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। ৩৩ বলে ১টি করে চার ও ছক্কায় ৩৩ রান করেন বাবর। কানাডার হয়ে ১৮ রানের খরচায় ২টি উইকেট নেন হেলেগার। এর আগে টস জিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নেয় পাকিস্তানি বোলাররা। তাতে গড়ে ওঠেনি বলার মতো কোনো জুটি। তবে এক প্রান্ত আগলে দারুণ ব্যাটিং করেন ওপেনার অ্যারন জনসন। সতীর্থদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সহায়তা না পাওয়ায় সাদামাটা স্কোর নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় দলটিকে। দারুণ ব্যাটিং করে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ রানের ইনিংস খেলে নাসিম শাহর বলে বোল্ড হয়ে যান জনসন। ৪৪ বলের ইনিংসটি সাজাতে সমান ৪টি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন এই ওপেনার। এছাড়া কলিম সানা অপরাজিত ১৩ ও অধিনায়ক সাদ বিন জাফর ১০ রান করেন। পাকিস্তানের পক্ষে ৪ ওভার বল করে ১৩ রানের খরচায় ২টি উইকেট নেন মোহাম্মদ আমির। হারিস রউফও ২টি উইকেট নেন ২৬ রানের বিনিময়ে।