এমপি আনার হত্যা

মাস্টারমাইন্ড শাহীনের বাসা থেকে ২ টি গাড়ি জব্দ

১২ জুন, ২০২৪ | ১২:১৬ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , দৈনিক গণঅধিকার

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাংসদ আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের দুটি গাড়ি জব্দ করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। রাজধানীর গুলশানে শাহীনের ভাড়া বাসার গ্যারেজ থেকে সম্প্রতি গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়। এর মধ্যে একটি সাদা রঙের প্রাডো মডেলের গাড়ি ও অন্যটি মাইক্রোবাস। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, গত শনিবার বিকেলে ডিবির একটি দল গুলশানে আক্তারুজ্জামানের ভাড়া বাসায় অভিযান চালায়। পরে বাসার নিচতলার গ্যারেজে থাকা শাহীনের সাদা রঙের প্রাডো গাড়িটি জব্দ করা হয়। একই গ্যারেজ থেকে আরেকটি সাদা রঙের মাইক্রোবাসও জব্দ করা হয়। জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় এলে গাড়ি দুটি ব্যবহার করতেন শাহীন। এমপি আনার হত্যার ঘটনায় আসামিদের মধ্যে মো. সিয়াম হোসেন নেপালে গ্রেফতার হন। বর্তমানে তিনি কলকাতা পুলিশের হেফাজতে। আরেক আসামি কসাই নামে পরিচিত জিহাদ হাওলাদারও ভারতের কলকাতায় গ্রেফতার হয়েছেন। অন্যদিকে, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন- আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, তার ভাতিজা তানভীর ভূঁইয়া, সিলিস্তি রহমান ও কাজী কামাল ওরফে গ্যাস বাবু। এর মধ্যে প্রথম তিনজন অপরাধ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। পলাতক অন্য আসামিরা হলেন- মোস্তাফিজুর রহমান, ফয়সাল আলী সাজি, চেলসি চেরি ওরফে আরিয়া, তাজ মোহাম্মদ খান ওরফে হাজি ও মো. জামাল হোসেন। গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন চিকিৎসক দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন তিনি। বাড়ি থেকে বেরোনোর পাঁচদিন পর ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনোয়ারুল আজীম নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলে না তিনবারের এই সংসদ সদস্যের। ২২ মে হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় সঞ্জীবা গার্ডেনস নামের একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া যায় রক্তের ছাপ।