জিম্মি ইসরায়েলিদের কতজন জীবিত তা কেউ জানে না: ওসামা হামদান

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের শীর্ষস্থানীয় নেতা ওসামা হামদান বলেছেন, ৭ অক্টোবর ইসরায়েল থেকে অপহৃত গাজায় আটক ১১৬ জন জিম্মির মধ্যে এখনও পর্যন্ত কতজন জীবিত আছেন, তা কেউই সঠিকভাবে জানে না। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন। হামদান বলেন, এ সম্পর্কে আমার কোনও ধারণা নেই। কেউই এ সম্পর্কে ধারণা করতে পারে না। তিনি দাবি করেছেন, গত সপ্তাহে ইসরায়েলি বাহিনীর উদ্ধার করা চার জিম্মিকে আট মাসের বেশি বন্দি অবস্থায় নির্যাতন করা হয়নি। হামাস নেতা বলেছেন, আমি মনে করি, যদি তাদের মানসিক সমস্যা থাকে, তবে তা গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের কারণে। বাকি জিম্মিদের অবস্থা ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সম্ভাব্য চুক্তির আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা গাজার দক্ষিণে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৫১ জনকে অপহরণ করে। জবাবে গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই আগ্রাসনে ৩৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামাস এখনও জীবিত জিম্মিদের তালিকা সরবরাহ করতে অস্বীকার করেছে এবং মাঝে মাঝে কিছু বন্দীর জীবনের প্রমাণ প্রধানত প্রচারণার স্বার্থে প্রকাশ করেছে। সাক্ষাৎকারে হামদান বলেছেন, জিম্মি বিনিময়ে যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির প্রস্তাব ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি গ্রহণ, গাজা থেকে সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং ফিলিস্তিনিদের নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য স্বাধীনতা সম্পর্কে একটি স্পষ্ট অবস্থান প্রয়োজন। নভেম্বরে হামাস ১০৫ জন বেসামরিক জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল সাময়িক যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলি কারাগারে আটক কয়েক শ’ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে। হামাস বলে আসছে, যেকোনও জিম্মি মুক্তি কেবল তখনই ঘটবে যখন ইসরায়েল পুরোপুরি যুদ্ধ শেষ করতে সম্মত হবে এবং গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে। ইসরায়েল এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছে। (সূত্র: সিএনএন)