আমাকে এতিম করে আবার কালীগঞ্জে এসে ‘অভিনয়’ করে : ডরিন

কলকাতায় হত্যাকাণ্ডের শিকার ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বলেছেন, ‘আমাকে এতিম করে দিয়ে কালীগঞ্জে এসে আবার আমাকে সান্ত্বনা দিয়ে অভিনয় করে যায়। ভাঙ্গায় বসে তারা ছবি আদান-প্রদান করে। কেন তারা আমার বাবাকে নৃশংসভাবে হত্যা করলো? গ্যাস বাবু তো আমার বাবার প্রতিপক্ষ না।’ বুধবার (১৯ জুন) সকালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রাখালগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া হাইওয়ে সড়কের রঘুনাথপুর বাজারে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমি কাউকে সন্দেহ করিনি। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত তাদের নামও আমি বলিনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করে হত্যাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করেছে। আমার বাবার নির্মম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে প্রশাসন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু চাচাকে আটক করেছে। আমি তো কারও নাম বলিনি। তাহলে কেন এখন বলা হচ্ছে, তাদের ফাঁসানো হচ্ছে? আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইন আমার বাবার হত্যার বিচার করবে।’ আনারকন্যা ডরিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘দিন দিন কেন ডিবির তৎপরতা কমে যাচ্ছে? আমি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি, এখন নাকি চাপ আসছে। যার কারণে হত্যা মামলাটির কার্যক্রম দিন দিন কমে যাচ্ছে। ডিবির কার্যক্রমও কমে যাচ্ছে। গ্যাস বাবু তো আমার বাবার প্রতিপক্ষ না। তাহলে কেন তারা ভাঙ্গায় বসে আমার বাবার হত্যার ছবি আদান-প্রদান ও টাকাপয়সা লেনদেনের মিটিং করলেন? এ হত্যার পেছনে থার্ডপার্টির হাত রয়েছে। আর এই থার্ডপার্টির একজন হচ্ছে গ্যাস বাবু। আমি আমার বাবার নির্মম ও নৃশংস হত্যাকারীদের বিচার চাই। তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।’ রাখালগাছি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম মন্টুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা এস এম জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ঠান্ডু। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুজ্জামান রাসেল প্রমুখ। মানববন্ধনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন কৃষক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার শত শত নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।