আবারও ইউক্রেনের জ্বালানি খাতে রুশ হামলায় নিহত ৩

আবারও ইউক্রেনের জ্বালানি খাতে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। শনিবার (২২ জুন) ইউক্রেনের জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৩ মাসে এ নিয়ে অষ্টম বারের মতো জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা চালালো রাশিয়া। এদিকে, উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের খারকিভেও রুশ হামলায় অন্তত ২ জন নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছে। খবর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র। ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, বিভিন্ন অঞ্চলে রাতভর রাশিয়ার ছোড়া ১৬টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ১২টি ও ১৩টি ড্রোনের সবগুলোই ভূপাতিত করেছে তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের খারকিভের কর্মকর্তারা বলেছেন, ওই অঞ্চলে রাশিয়ান গাইডেড বোমার আঘাতে ৩ জন নিহত হয়েছে। শহরে কমপক্ষে ৪ টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। হামলায় কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে। এছাড়া জ্বালানি অবকাঠামোতে রাতভর হামলায় জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে দুই জ্বালানি কর্মী আহত হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লভিভের জ্বালানি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইভানো-ফ্রাঙ্কিভস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে, বাড়িঘর ও একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের ক্ষতির কথাও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। জ্বালানি অবকাঠামোয় হামলার ফলে ইউক্রেনজুড়ে লোডশেডিং হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সম্প্রতি বলেছেন, মার্চের শেষের দিকে তার দেশের বিদ্যুৎ-উৎপাদন ক্ষমতার অর্ধেক ধ্বংস করেছে রাশিয়া। যদিও ইউক্রেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে জ্বালানি কিনছে, তবে ঘাটতি পূরণের জন্য তা যথেষ্ট নয়। এর অর্থ হলো, আগামী দিনগুলোতে হাসপাতাল বা সামরিক ঘাঁটিগুলোর মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো রক্ষায় আমাদেরকে পরিকল্পনা করেই দেশজুড়ে লোডশেডিং চালাতে হবে। ইউক্রেনের বৃহত্তম বেসরকারি শক্তি সংস্থাগুলোর মধ্য অন্যতম ডিটিইকে। এর প্রধান নির্বাহী ম্যাক্সিম টিমচেনকো বলেছেন, আমাদের জরুরিভাবে আকাশ প্রতিরক্ষা বন্ধ করতে হবে। নইলে এই শীতে ইউক্রেন একটি গুরুতর সঙ্কটের মুখোমুখি হবে। এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের মিত্রদের আরও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন জেলেনস্কি।