ক্যাশলেস লেনদেনের নতুন ফর্মুলা এফবিসিসিআই’র

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) ক্যাশলেস লেনদেনের নতুন ফর্মুলা দিয়েছে। এই ফর্মুলা অনুযায়ী, ক্যাশলেসের শর্তেও যেকোনও বিক্রির ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত নগদে লেনদেনের সুযোগ চায় ব্যবসায়ীরা। রবিবার (২৩ জুন) অর্থমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই ফর্মুলাটি দেওয়া হয়। যদিও ক্যাশলেস সোসাইটি গড়তে সরকার নতুন বাজেটে করপোরেট করহার ২.৫ শতাংশ কমানোর সুবিধা রেখে শর্তারোপ করেছে— যেকোনও আয়বর্ষে সব প্রকার আয় ও প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ৫ লাখ টাকার বেশি একক লেনদেন ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে সম্পাদন করতে হবে। এছাড়া, কোনও প্রতিষ্ঠান তার বাৎসরিক ব্যয় বা বিনিয়োগ কোনোটাই ৩৬ লাখ টাকার বেশি নগদে করতে পারবে না। এফবিসিসিআই’র এই চিঠির অনুলিপি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান, অর্থ বিভাগের সচিব, এনবিআরের আয়কর, শুল্ক ও মূসক নীতি শাখার সদস্যদের ও এনবিআরের প্রধান বাজেট সমন্বয়কারীকে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেছেন, ‘সরকার ক্যশলেস লেনদেন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কোনও আয়বর্ষে সব ধরনের আয় ও প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ৫ লাখ টাকার বেশি একক লেনদেন, এবং বাৎসরিক ৩৬ লাখ টাকার বেশি ব্যয় বা বিনিয়োগ অবশ্যই ব্যাংকিং চানেলের মাধ্যমে সম্পাদন করতে হবে বলে শর্ত আরোপ করেছে। ক্যাশলেস লেনদেন উৎসাহিত করার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। তবে এর বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ সময়সীমা নির্ধারণ করা দরকার।’ তিনি বলেন, ‘করহার কমানোর ক্ষেত্রে নগদ লেনদেনের শর্ত আরোপ বর্তমান প্রেক্ষাপটে পুরোপুরি মেনে চলা ব্যবসাবান্ধব নয়। তাই, এই হার কোম্পানির বিক্রির হারের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে। যেমন, বিক্রির ৩০ শতাংশের বেশি নগদে সম্পাদন করা যাবে না। আবার, আগামী বছরগুলোতে তা ক্রমান্বয়ে হ্রাস করা যেতে পারে।’ প্রসঙ্গত, গত বছর থেকেই ক্যাশলেস লেনদেনের শর্তারোপ করে করহার কমানোর সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে একাধিক প্রতিষ্ঠান তা মেনে এই সুবিধা নেওয়ার জন্য আবেদনও করেছে।