সমীকরণ নয়, আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের লক্ষ্য বাংলাদেশের

২৪ জুন, ২০২৪ | ৪:০২ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , দৈনিক গণঅধিকার

বোলারদের দারুণ পারফরম্যান্সে দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু গ্রুপ পর্বের মতো সুপার এইটের ম্যাচেও পাল্টায়নি দৃশ্যপট। ভালো উইকেটেও ব্যাটারদের সংগ্রামের পর নতুন করে যুক্ত হয়েছে বোলারদের ব্যর্থতা। তাতে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের কাছে হেরে সেমিফাইনালের পথ থেকে অনেকটাই ছিটকে গিয়েছিল। কিন্তু দুইদিন আগে অস্ট্রলিয়াকে হারিয়ে আফগানরা বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে যাওয়ার আরও একটা সুযোগ করে দিয়েছে। অজিদের হারিয়ে ইতিহাস তৈরি করা আফগানদের বিপক্ষে কাল সকাল সাড়ে ৬টায় সেমিতে উঠার লড়াইয়ে নামবে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্তর দল অবশ্য সমীকরণ নিয়ে ভাবছে না। ম্যাচটা জিতেই বিশ্বকাপ শেষ করতে চাইছে। বাংলাদেশের সেমিফাইনালে যাওয়ার সমীকরণটা বেশ কঠিনই। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশকে কেবল জিতলেই হবে না। আজ রাতে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে । ভারত বড় ব্যবধানে অজিদের হারাতে পারলে বাংলাদেশকেও জিততে হবে একটা ভালো ব্যবধান রেখে। মেলাতে হবে নানা হিসেব-নিকেশ। তবে কঠিন সব সমীকরণের দিকে না ছুটে জয় দিয়ে এবারের আসরটা শেষ করতে চায় টাইগাররা। দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশের সহকারী কোচ নিক পোথাস, ‘প্রতিটি ম্যাচেই আপনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে চাইবেন। আমরাও প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলবো। আফগানিস্তানের বিপক্ষে আমাদের অনেক সাফল্য আছে। ওদের বিপক্ষে সিরিজও জিতেছি। আপনি ক্রিকেটের মতো খেলায় নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন, এটা অনেক সম্মানের। আমরা তাই এই ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপ শেষ করতে চাই।’ সুপার এইটে খেলা নিয়ে নিক পোথাস বলেন, ‘মানুষের আশা অনেক বেশি থাকে। আমরা এই প্রথম সুপার এইটে খেললাম যা অনেক বড় অর্জন (আসলে দ্বিতীয়বার)। তারা যা করেছে তাও কম নয়। দুটো খুব ভালো দলের বিপক্ষে আমরা ম্যাচ হেরেছি।’ প্রতিটি টুর্নামেন্ট ব্যর্থ হওয়ার পর বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে চুলচেড়া বিশ্লেষণ করা হয়। নতুন নতুন ক্রিকেটারদের সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু বদলায় না কোন কিছুই। নিক পোথাস সেই সুরেই অনেকটা কথা বললেন, ‘বড় দলগুলো কোথায় আছে আর আমরা কোথায় আছি এটা খুঁজে বের করতে হবে। বের করতে হবে আমাদের কোন ধরনের ক্রিকেটার প্রয়োজন। পাওয়ার ছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা সম্ভব নয়। পাওয়ার প্রয়োজন।’ পোথাস আরও বলেছেন, ‘২০০৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কোন কোন বিষয় বদলে গেলো এটা খুঁজে বের করতে হবে। ২০০৭ সালে বাংলাদেশ যা করেছে এখনও তা করে থাকলে ব্যাপারটায় চমকে যাওয়ার কিছু নেই। এমন নয় যে তারা সামনে আগায়নি। অন্যান্য দল হয়তো আরও অনেক বেশি এগিয়েছে, এ কারণে বড় পার্থক্য তৈরি হয়েছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে হলে পাওয়ার প্রয়োজন, পুরো বিশ্বে এটাই চলছে।’