তাহিরপুর বিভিন্ন ছড়া ও নদীর খনিজ বালু হরিলুট,যেন দেখার কেউ নেই

২৩ আগস্ট, ২০২৪ | ১২:৫৯ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , দৈনিক গণঅধিকার

স্টাফ রিপোর্টার তাহিরপুরঃসুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদ নদী ও ছড়ার বালু হরিলুট,নানা প্রক্রিয়ায় নদী ও ছড়াতে কোটি কোটি টাকার বানিজ্য চলছে বালু খেকোদের। অথচ উপজেলা প্রশাসনের তথ্য মতে জানাযায় উপজেলা প্রশাসন থেকে এসব স্থানে কোন ইজারা প্রদান করা হয়নি। কিন্তু কীভাবে এসব স্থান থেকে প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদ নদী ও ছড়ার বালু হরিলুট হচ্ছে এমন প্রশ্ন স্থানীয় সচেতন মহলের। গত দুই সপ্তাহ ধরে উপজেলা সীমান্তের কলাগাও, চারাগাও ছড়া ও শান্তিপুর নদী থেকে বালু উত্তোলন ও বল্ডহেড বুজাই করে বিক্রিতে মেতে উঠেছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী বালুখেকো চক্র।এ উপজেলায় জনশ্রুতি রয়েছে যে অবৈধভাবে রাষ্ট্রের খনিজ প্রাকৃতিক খনিজ হ ভসম্পদ নদী ও বিভিন্ন ছড়া থেকে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে চিহ্নিত কিছু লোক আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে। দিনেদুপুরে প্রকাশ্যে রাষ্ট্রের খনিজ সম্পদ নদী ও বিভিন্ন ছড়া থেকে বালু উত্তোলন ও বিক্রি হচ্ছে জেনেও উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ অভিযান হচ্ছে বা হবে এবং বিভিন্ন অজুহাতে সীমাবদ্ধ থাকায় স্থানীয় সচেতন মহলের সন্দেহের আঙুল প্রশাসন ও থানা পুলিশের দিকেও। তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মাইন উদ্দিন জানান আমরা বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে বালুর নৌকা আটক করি।বর্তমানে যে নৌকাগুলো লোডিং হচ্ছে এগুলোর ব্যাপারে কী করবেন এমন প্রশ্নে উনি বলেন অভিযান চালাব। উপজেলা সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামস সাদাত মাহমুদ উল্লাহ জানান উপজেলা সীমান্তের এসব ছড়া ও নদীতে বালু উত্তোলনে কোন অনুমতি নেই।এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা পারভীন জানান উপজেলা সীমান্তের এসব ছড়া ও নদীগুলোতে বালু উত্তোলনের কোন অনুমতি নেই। এগুলো বিজিবি দেখার কথা,কিন্তু বিজিবি প্রশাসনের কথা বলে এমন প্রশ্নে উনি বলেন হয়তো পুলিশের কথা বলে,পুলিশ বললেও তারা যায়না,পুলিশ এখনো তাদের কার্যক্রম সক্রিয় নয়,আমিও উপর থেকে কোন নির্দেশনা পাচ্ছি না। এসব বিষয়ে খুব বিপদে আছি।উনি বলেন পুলিশ ছাড়াত আমার একার পক্ষে সম্ভব না। দেখি আজকেও উনাদের বলবো।