আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় র্যাব-১১ এর রোবাস্ট পেট্রোল কার্যক্রম জোরদার

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং অপরাধ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১ নারায়ণগঞ্জসহ সাতটি জেলায় রোবাস্ট পেট্রোল কার্যক্রম শুরু করেছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর দেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। এ সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। ৫ আগস্টের সেই পট পরিবর্তনের পর দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হত্যাকাণ্ড, ডাকাতি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ বেড়ে যায়। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জে সম্প্রতি ছিনতাই এবং ছিনতাই পরবর্তী হত্যাকাণ্ড আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা গত ১২ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র সীমান্ত হত্যাকাণ্ড। এই ঘটনার পর এলাকাজুড়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আরও বেড়ে যায়। নারায়ণগঞ্জের চিটাগাং রোড, সাইনবোর্ড, কাঁচপুর ব্রিজ, ভুলতা-গাউছিয়া, মেঘনা ব্রিজ এবং সোনারগাঁসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে নিয়মিত টহল মোতায়েন করা হয়েছে। একইসঙ্গে আশপাশের অন্যান্য জেলায় যেমন মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী এবং লক্ষ্মীপুরেও টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার এএসপি সনদর বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে টহল কার্যক্রমের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারিও বৃদ্ধি করা হয়েছে। অপরাধীদের শনাক্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য র্যাবের বিশেষ টিম কাজ করছে। সাধারণ মানুষ র্যাব-১১ এর এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা আশা করছেন, এই রোবাস্ট পেট্রোল কার্যক্রমের মাধ্যমে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি এবং হত্যাকাণ্ডের মতো অপরাধ উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে। র্যাবের এই উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জসহ আশপাশের এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শিগগিরই স্বাভাবিক হবে এবং নাগরিকরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। র্যাব-১১ এর এই কার্যক্রমের মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং অপরাধীরা আইনের আওতায় আসবে; এটাই সকলের প্রত্যাশা।