স্ত্রী ও দুই সন্তানকে ছুরিকাঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে স্ত্রীর মৃত্যু

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করেছেন মামুন নামের এক ব্যক্তি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। স্ত্রী-সন্তানদের ওপর নৃশংস হামলার পর মামুন নিজেও গলায় ছুরিকাঘাত করে ‘আত্মহত্যার’ চেষ্টা করেন। তাঁকেও হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এলাকাবাসী জানান, রাতে চিৎকার শুনে পাশের বাড়িতে ছুটে যান প্রতিবেশীরা। দেখেন মামুনের দেড় বছর বয়সী মেয়ে জান্নাত ও চার বছর বয়সী কুলসুম রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের ভেতরে পড়ে রয়েছে। এ সময় শিশুদের মা মেঘলা (২২) রক্তাক্ত অবস্থায় ছটফট করছিলেন। এলাকাবাসীর দাবি, স্ত্রী ও দুই মেয়েকে ধারালো চাকু দিয়ে মাথায় আঘাতের পর মামুন নিজের গলায় ছুরি চালান। মামুনের মা সুফিয়া বেগম বলেন, ‘আমি বড় নাতনিকে নিয়ে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। ছোট দুই নাতনি বাড়িতেই ছিল। আজ রাতে বাড়িতে ফিরে এসে দেখি এই অবস্থা।’ তিনি বলেন, বউমার সঙ্গে ছেলের পারিবারিক কলহ ছিল। এর আগে সংসার ছেড়ে সে আরেক জায়গায় চলে গিয়েছিল। দুই দিন আগে ছেলে বুঝিয়ে তাঁকে ফিরিয়ে এনেছে। বাড়ি এসে জানতে পারি আজকেও নাকি বউ মোবাইলে কার সঙ্গে কথা বলছিল। ছেলে তা হাতেনাতে ধরে ফেলে। এরপর বউ ও দুই মেয়েকে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করে সে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) হোসেন ইমাম বলেন, ‘তিনজনকেই ধারালো কিছুদিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে মায়ের মৃত্যু হয়েছে। শিশু দুইটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। রেফার্ড করার মতো অবস্থাতেও নেই। সাধ্যমত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’ এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে।’