কুষ্টিয়াতে অবৈধ ক্লিনিক ব্যবসার আড়ালে মাদক নারী এবং দালাল চক্রের কমিশন বানিজ্য

নারী চিকিৎসকের উপর হামলার ঘটনায় চার জন আটক, রিমান্ড শুনানি আজ

১৫ মে, ২০২৫ | ১:৪১ অপরাহ্ণ
দেওয়ান মনতাজ , দৈনিক গণঅধিকার

কুষ্টিয়ায় নারী চিকিৎসকের উপর হামলার ঘটনায় চারজন আটক হয়েছে। আটকৃতদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আদালত সূত্রে জানা যায় আজ ১৫ মে আটককৃতদের রিমান্ড শুনানি হবে। হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন ব্লু উদ্ধার না হলেও যেকোনো সময় নাটকীয় মোড় কুষ্টিয়ায় নারী চিকিৎসকের উপর হামলার ঘটনায় চারজন আটক হয়েছে। আটকৃতদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আদালত সূত্রে জানা যায় আজ ১৫ মে আটককৃতদের রিমান্ড শুনানি হবে নিতে পারে। কুষ্টিয়াতে অবৈধ ক্লিনিক ব্যবসার আড়ালে মাদক, নারী এবং দালাল চক্রের কমিশন বানিজ্য থেকে ক্ষুব্ধ একটি চক্র হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। সংশি-ষ্ট সূত্রে যায়, গত ৫ মে দুপুরে শহরের কোর্টপাড়া এলাকার লাইফ কেয়ার ক্লিনিকের সামনে একদল নারী ল্যাব কেয়ার ক্লিনিকের মালিক চিকিৎসক শার-মিন সুলতানার ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাকে মারধর করা সহ টেনে হিঁচড়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এ সময় হামলাকারীরা জানান উক্ত চিকিৎসক তাদের কাছ থেকে চাকুরী, ভাতা ও জমি দেওয়ার নাম করে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা নিয়েছেন। এখন সাত মাস ধরে কোন যোগাযোগ রাখতে চাচ্ছেন না। তারা টাকা আদায় করার জন্য ডাক্তার সাহেব কে ধরে নিয়ে যেতে এসেছেন। কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হামলায় অংশগ্রহণকারী কয়েকজন নারীসহ চিকিৎসক শারমিন সুলতানা কে হেফাজতে নেয়। ওই রাতেই মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান উভয়পক্ষ। পরদিন তিনজন হামলাকারী নারীর নাম উলে-খকরে অজ্ঞাত ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন চিকিৎসক শারমিন সুলতানার স্বামী ডাক্তার মাসুদ রানা। শহরের কোটপাড়া অর্জুনদাস আগরওয়ালা সড়কে অবস্থিত লাইফ কেয়ার ক্লিনিকের মালিক মোঃশামীম বলেন, গত তিন বছর ধরে ডাক্তার শারমিন সুলতানা আমার ক্লিনিকে প্র্যাকটিস করেন। দুই বছর আগে ডাক্তার শারমিন সুলতানা নিজেই একটি ক্লিনিক দেন। আমরা কল দিলেই তিনি এখানে এসে রোগী দেখেন। সেদিন সুমি নামের একজন রোগী সিরিয়াল দিয়ে ডাক্তার দেখাতে আসায় আমরা ডাক্তার শারমিন সুলতানা কে কল দিই। তিনি আসার পর সুমির নেতৃত্বে একদল সঙ্ঘবদ্ধ মহিলা ডাক্তারের উপর হামলা চালায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্লিনিক ব্যবসার সাথে জড়িত একজন জানান, ডাক্তার শারমিন সুলতানা ল্যাব কেয়ার ক্লিনিক তৈরী করার সময় মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট মিলন নামের একজনকে পার্টনার হিসেবে নিয়েছিলেন। কিছু দিন পর মিলন ক্লিনিকে নারীঘঠিত অপরাধে জড়রিয়ে পড়েন। এটিএন বাংলায় এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর মিলনের পার্টনারশিপ কিনে নিয়ে বিদায় দেন ডাক্তার শারমিন সুলতানা। এছাড়া ৫ মে হামলার পর আটক সুমি কুষ্টিয়া মডেল থানায় উপস্থিত সাংবাদিকদের বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠানোর ডকুমেন্ট দেখান। সেখানে "শারমিন সুলতানা পুষ্প' নামে একজনের নাম উলে-খ আছে বলে জানান উপস্থিত সাংবাদিকরা। ক্লিনিক ব্যবসা, রোগী কমিশন বানিজ্য, প্রতারণা মূলক আর্থিক লেনদেন এই তিন বিষয়কে সামনে রেখে তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। এক্ষেত্রে সুমির মতো হতদরিদ্র নারীদের ব্যবহার করে তৃতীয় পক্ষ ফায়দা লুটছে কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃমোশাররফ হোসেন জানান, পুলিশ কাজ করছে। আশাকরি প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।