কুমারখালীতে আন্তর্জাতিক স্যান্ডার্ড রেটিং দাবা প্রতিযোগিতা

বাংলাদেশী পরিসংখ্যানবিদ, সাহিত্যিক ও দাবাড়ু কাজী মোতাহার হোসেনের ১২৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক স্টান্ডার্ড রেটিং দাবা প্রতিযোগতা শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় কেক কেটে ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে দাবা প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিজয় কুমার জোয়ার্দার। কাজী মোতাহার হোসেন স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মোহনের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হক, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিরুল ইসলাম প্রমূখ। গ্রামে দাবা খেলার প্রচলন বৃদ্ধি, মাদক ও স্মার্টফোন অপব্যবহার মুক্ত সমাজ গঠনের লক্ষে উপজেলার চৌরঙ্গী বাজার এলাকায় প্রথমবারের মতো এমন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে কাজী মোতাহার হোসেন স্মৃতি ফাউন্ডেশন। এতে ভারতের চারজন, ঢাকা, কুমিল্লা, টাঙ্গাইল, রাজশাহী, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অন্তত ৫৪ জন নানা বয়সী দাবাড়ু অংশগ্রহণ করেছেন। দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, একটি কক্ষে বসেছে ২৭ সেট দাবা। এতে দেশী-বিদেশী দাবাড়ু খেলা করছেন। খেলা দেখতে ভিড় করেছেন উৎসুক জনতা ও খেলোয়ারদের স্বজনরা। রাজশাহী থেকে এসেছেন সপ্তম শ্রেণির ছাত্র এস এম ফারাবী রহমান। সে ঢাকা, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে এর আগে দাবা খেলেছে। তার ভাষ্য, ভবিষ্যতে গ্রান্ডমাস্টার বা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে চাই সে। ফারাবীর মা শিল্পী খাতুন বলেন, এখানে ফারাবী সকলের ছোট। না পারলেও ভাল অভিজ্ঞতা অর্জন হবে। সে জন্য বাচ্চাকে নিয়ে আসা। বাংলাদেশ এসএবির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম বলেন, দাবা খেলায় খরচ কম। দাবা খেললে মেধা বিকাশ ঘটে, ধর্যশীল, সহনশীল ও ভদ্র হওয়া যায়। গ্রামে দাবা খেলার প্রচলন বৃদ্ধি, মাদক ও স্মার্টফোন অপব্যবহার মুক্ত সমাজ গঠন এবং বিশিষ্ট দাবাড়ু কাজী মোতাহার হোসেনের স্মৃতি ধরে রাখার লক্ষে এমন দাবার আয়োজন বলে জানিয়েছেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মোহন। তিনি বলেন, এতে দেশ ও বিদেশ থেকে ৫৪ জন নানা বয়সী খেলোয়ার অংশ নিয়েছেন। আগামীকাল শনিবার বিকেল ৫টায় পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে শেষ হবে আয়োজন। উল্লেখ্য, পরিসংখ্যানবিদ, সাহিত্যিক ও দাবাড়ু কাজী মোতাহার হোসেন ১৮৯৭ সালের ৩০ জুলাই তৎকালীন নদীয়া জেলা কুষ্টিয়ার কুমারখালীর চৌরঙ্গী এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮১ সালের ৯ অক্টোবর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।