কক্সবাজারে দালাল সিন্ডিকেট অভিযানে চারজনকে কারাদণ্ড

কক্সবাজার শহরের পাসপোর্ট অফিস ও সদর হাসপাতালে দালাল সিন্ডিকেট বিরোধী অভিযান চালিয়ে চারজন দালালকে গ্রেফতার ও বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সম্প্রতি এসব এলাকায় সক্রিয় হওয়া দালালচক্র সাধারণ মানুষকে নানা প্রলোভনে ফেলে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে আসছিল। ফলে পাসপোর্ট করতে আসা আবেদনকারী ও চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন, পাশাপাশি সরকারি সেবাপ্রদান প্রক্রিয়াও ব্যাহত হচ্ছিল। এই প্রেক্ষাপটে র্যাব মহাপরিচালকের নির্দেশক্রমে এবং র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক সিপিএসসি কোম্পানির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ৭ আগস্ট সকাল ১১টা থেকে পাসপোর্ট অফিস ও সদর হাসপাতাল এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব-১৫ সিপিএসসি কোম্পানির কমান্ডার মেজর মো. নাজমুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার দেবজিত পাল ও র্যাব ফোর্সেসের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু হাসান। অভিযানে চারজন দালালকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয় এবং বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করেন। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন কক্সবাজার সদরের পূর্ব ঘোনাপাড়া থেকে মোস্তাকের ছেলে মোঃ নুরু উদ্দিন (২৭); বৌদ্ধ খোলা এলাকা থেকে মকতুল হোসেনের ছেলে আবুল বাশার (৫১); মহেশখালী গরুঘাটা এলাকা থেকে খোকা দে’র ছেলে পলাশ দে (৪২)। র্যাব-১৫ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জনগণের মৌলিক সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে এ ধরনের দুর্নীতিবাজ ও প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণের তথ্য ও সচেতনতাই এ অভিযানের মূল চালিকাশক্তি হবে বলেও জানানো হয়। কক্সবাজার হাসপাতাল সড়ক এলাকায় দালালদের কারণে সাধারণ কোনো মানুষ যাতায়াত করতে পারছিল না। ইতোপূর্বে দালালদের কারণে অনেক রোগী প্রতারিত হয়েছেন। সরকারী ও বেসরকারি প্রায় সব হাসপাতাল ও ল্যাবের নিজস্ব দালাল রয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বহু প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। দীর্ঘ সময় পর পরিচালিত এই অভিযানের ফলে হাসপাতালে এলাকায় অনেকটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।