বৃদ্ধ শ্বশুরকে পুত্রবধু ও তার স্বজনদের নির্যাতন

হাসপাতালে ভর্তি

১২ আগস্ট, ২০২৫ | ১২:৫২ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , দৈনিক গণঅধিকার

কাতার প্রবাসী ছেলে রুবেল মৃধার স্ত্রী তানজিলা বেগম ও তার স্বজনরা বৃদ্ধ শ্বশুর দেলোয়ার মৃধাকে (৮০) পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত শ্বশুরকে স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় শ্বশুর সোমবার দুপুরে পুত্রবধু ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বৃদ্ধ শ্বশুরকে নির্যাতনের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার গেড়াবুনিয়া গ্রামে রবিবার রাতে। জানাগেছে, উপজেলার গেড়াবুনিয়্ াগ্রামের বৃদ্ধ দেলোয়ার মৃধার দুই ছেলে রুবেল মৃধা ও সবুজ মৃধা কাতারে থাকেন। বড় ছেলে রুবেল মৃধা কাতার যাওয়ার পর থেকেই তার স্ত্রী বৃদ্ধ শ্বশুর ও শ্বাশুড়ীকে ভরন পোষণ দেয়না। তিনি পটুয়াখালী সদর উপজেলার বাদুরা গ্রামে তার বাবা মালেক হাওলাদারের বাড়ীতে বসবাস করেন। গত পাঁচ বছর ধরে তিনি তার শ্বশুর-শ্বাশুড়ীতে কারণে-অকারনে নির্যাতন করে আসছে এমন অভিযোগ শ্বশুর দেলোয়ার মৃধার। রবিবার দুপুরে বড় ছেলের স্ত্রী তানজিলা বেগম শ্বশুর বাড়ীতে আসেন। ওই দিন পারিবারিক বিষয় নিয়ে শ্বশুরের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষুব্দ হয়ে পুত্রবধু তানজিলা তার বাবার বাড়ীর লোকজনকে খবর দেয়। তারা এসে শ্বশুরকে এলোপাথারী পিটিয়ে জখম করে। শ্বশুরকে রক্ষায় তার ছোট পুত্রবধু লিপি আক্তার ও শ্বাশুড়ী পারুল বেগম এগিয়ে আসলে তাদেরও মারধর করে। পরে স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে ওইদিন রাতে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে শ্বশুর পুত্রবধু তানজিলা তার বাবা মালেক হাওলাদার, দুই ভাই ইমানুল হাওলাদার ও নজরুল হাওলাদারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। আহত শ্বশুর দেলোয়ার মৃধা কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, মুই মোর পোলারে বড় হইর‌্যা বিপদে পরছি। পোলার বউ ও হ্যার বাহে, মায় ও ভাইরা আইয়্যা মোরো মারছে। মুই এইয়্যার বিচার চাই। তিনি আরো বলেন, পোলার বউ মোড়ে খাওন-পরন দেয়না। মুই হেইয়্যার প্রতিবাদ করায় মোরে মারছে। পুত্রবধু তানজিলা বেগম শ্বশুরকে মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, শুধুমাত্র তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে। বিষয়টি পারিবারিক,তাই মিমাংশা হয়েছে। আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ হুমায়ুন আহম্মেদ সুমন বলেন, বৃদ্ধ দেলোয়ার মৃধার হাতে ও পায়ে রক্তাক্ত জখমের চিহৃ রয়েছে। তাকেসহ দুই জনকে যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।