নারায়ণগঞ্জ সদর সমাজসেবা কার্যালয়ে ভেরিফিকেশন নিতে ভাতাভোগীদের ভিড়
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে চলছে সরকারি ভাতাভোগীদের লাইভ ভেরিফিকেশন। সকাল থেকেই বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী সুবিধাভোগীরা দূর-দূরান্ত থেকে এসে কার্যালয়ের সামনে দীর্ঘ লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকেন। কেউ হেঁটে, কেউ রিকশায়, আবার কেউ প্রতিবেশীর সহায়তায়। প্রত্যেকেই সরকারি ভাতা চালু রাখতে যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার চেষ্টা করছেন। ভিড় বাড়লেও মাঠপর্যায়ের কর্মীদের তদারকিতে সার্বিক কার্যক্রম চলছে তুলনামূলকভাবে সুশৃঙ্খলভাবে। ভেরিফিকেশন নিতে আসা অনেকেই বলছিলেন, “ভাতা বন্ধ হয়ে গেলে কষ্টে পড়তে হয়, তাই কষ্ট করে হলেও আজ এসেছি।” সদর উপজেলার কুতুবপুর ও ফতুল্লা ইউনিয়নের ভাতাভোগীরা আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সদর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে লাইভ ভেরিফিকেশন করতে পারবেন। এরপর ১৫ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে এ কার্যক্রম চলবে। ভেরিফিকেশনের পাশাপাশি আচমকা বেড়ে গেছে মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট পরিবর্তনের চাপ। আগে বেশিরভাগই নগদ ব্যবহার করলেও বর্তমানে অধিকাংশ ভাতাভোগী নতুন করে বিকাশ একাউন্ট খুলছেন। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কার্যালয়ের সামনে বিকাশের প্রতিনিধিরা টেবিল-চেয়ার পেতে অস্থায়ী বুথ বসিয়েছেন। সদর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী কর্মকর্তা মো. নূরউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “ভাতাভোগীদের লাইভ ভেরিফিকেশন নিয়মিত কার্যক্রম। প্রতিবছরই এটি করা হয়। পুরো উপজেলায় বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী মিলিয়ে প্রায় ৩০ হাজার ভাতাভোগী রয়েছে। উদ্দেশ্য হলো, ঠিক ব্যক্তি সরকারি ভাতা পাচ্ছেন কি না তা নিশ্চিত করা। যারা মারা গেছেন বা নিরুদ্দেশ আছেন, তাদের বাদ দেওয়া হয়। পরে নতুন আবেদন গ্রহণ করা হয়।” তিনি আরও বলেন, “সদর একটি বড় উপজেলা। জনবল কম থাকলেও আমরা পুরো প্রক্রিয়াটি সুন্দরভাবে পরিচালনার চেষ্টা করছি। তোলারাম কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ ও হরগঙ্গা কলেজের ৩০ জন শিক্ষার্থী স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে আমাদের সহযোগিতা করছে।” গত বুধবার সকালে সমাজসেবা কার্যালয়ের সামনের পুরো এলাকা ছিলো ব্যস্ত। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অনেক ভাতাভোগী জানালেন, ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করতে একটু কষ্ট হচ্ছিল ঠিকই, তবে সরকারি ভাতা চালু রাখার স্বার্থে এই উপস্থিতি জরুরি।
