শোরুমে বিক্রি বৈধ, রাস্তায় চালালে জরিমানা
ফেনীসহ আশপাশের জেলায় ব্যাটারি চালিত রিকশা চালকরা চরম অনিশ্চয়তায় রয়েছেন। শোরুমে বিক্রি বৈধ হলেও, রাস্তায় নামলেই তারা জরিমানা ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এতে হাজারো পরিবার জীবিকা সংকটে পড়েছে। চালকরা অভিযোগ করেছেন, পুলিশের অভিযানে ব্যাটারি রিকশা চালানোর দায়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা এবং সর্বোচ্চ ২,৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে শারীরিক হয়রানির কথাও উঠেছে। সম্প্রতি এক চালক শহরের বিদ্যুতের খুঁটিতে তার লিখিত অভিযোগ টাঙিয়ে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। অভিযোগপত্রে ওই চালক উল্লেখ করেছেন, তিনি একজন অটো রিকশা চালক এবং এই রিকশার ওপরই তার সংসার নির্ভরশীল। কিস্তি ও ঋণ নিয়ে রিকশা কিনে প্রতিদিন উপার্জন করছেন, যার ওপর পাঁচ থেকে সাতজন মানুষের জীবিকা নির্ভরশীল। এমন অবস্থায় বারবার ২,৫০০ টাকা জরিমানা সংসার চালানোকে অসম্ভব করে তুলেছে। একজন যাত্রী মন্তব্য করেন, রিকশাগুলো যদি অবৈধ হয়, তাহলে শোরুমে কেন বিক্রি হচ্ছে? আগে বিক্রি বন্ধ করুন, গরিবদের ওপর হয়রানি বন্ধ করুন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্যাটারি চালিত রিকশাগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে শোরুম ও দোকানে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে। তবে রাস্তায় নামলেই চালকদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষরা এক ধরনের দ্বৈত নীতির শিকার হচ্ছেন। সচেতন মহলের মতে, ব্যাটারি চালিত রিকশা নিয়ে স্পষ্ট নীতিমালা না থাকায় এই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। তারা বলছেন, আমদানি ও বিক্রি থেকে শুরু করে চলাচল পর্যন্ত একটি সমন্বিত নীতিমালা না হলে শুধুমাত্র চালকদের শাস্তি দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না। চালকরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন ব্যাটারি চালিত রিকশার জন্য একটি স্পষ্ট ও মানবিক নীতিমালা প্রণয়ন। শোরুম ও বিক্রয় ব্যবস্থার যথাযথ নিয়ন্ত্রণ চালকদের প্রতি হয়রানি বন্ধ করা এবং বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ।
