অন্ধ চোখেই আলো ছড়াচ্ছেন মালিকা – দৈনিক গণঅধিকার

অন্ধ চোখেই আলো ছড়াচ্ছেন মালিকা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২০ আগস্ট, ২০২৩ | ৫:০৫ 40 ভিউ
আফগানিস্তানে তালেবান শাসনে কোণঠাসা নারীদের অন্ধকার জীবনে আশার আলো ছড়াচ্ছেন মালিকা নামের অন্ধ এক নারী। বয়স ২১ বছর। দৃষ্টিহীন হয়েও বেঁচে থাকার সংগ্রামে নেমেছেন। অর্থ উপার্জন করছেন পরিবারকে সহায়তা করছেন। সংসার চালাচ্ছেন। বাঁচতে শেখাচ্ছেন অন্য নারীদেরও। অন্ধ চোখেই আলো ছড়াচ্ছেন মালিকা। পাড়াপড়শি, কাছের মানুষ সবার কাছেই তিনি এখন ‘আলোর বাতিঘর’। ২০২১ সালের ১৫ আগস্টে আবার ক্ষমতায় আসার পর লাখ লাখ নারীর অধিকার ছিনিয়ে নেয় তালেবান। বন্ধ করে দেয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। নিষিদ্ধ করা হয় আয়-রোজগারের পথ। হতাশার আগুনে পুড়তে শুরু করেন নারীরা। বদ্ধ জীবনে গুমড়ে কাঁদা সেসব নারীর ধূমকেতুর মতো আশার আলো ছড়িয়ে দেন মালিকা। নারীদের কঠিন জীবনকে সহজ করে তুলতে তৈরি করেন নতুন রোজগারের পথ। অক্ষমতা সত্ত্বেও নারীদের সহায়তা করতে চালু করেন সেলাইয়ের স্কুল। জুম ক্লাসের মাধ্যমে শেখান সেলাইয়ের কাজ। ১২০ জনেরও বেশি নারী তার সঙ্গে কথা বলেন। যাদের বেশির ভাগই অন্ধ। ভবিষ্যতের জন্য কিভাবে আশাবাদী হতে হবে সে বিষয়ে পরামর্শ দিতে মাঝে মাঝে আলোচনা সভারও ব্যবস্থা করেন। সব হতাশা ঝেড়ে ফেলে নারীরা যেন নিজেদের ব্যবসা শুরু করতে পারে ও তাদের পরিবারকে সাহায্য করতে পারে সেজন্যই হস্তশিল্প ব্যবসার পদক্ষেপ নেন মালিকা। বলেন, ‘আফগান মেয়েদের অধিকার দরকার। আমি কিছু করতে পারি বা না পারি আমি অন্য নারীদের সাহায্য করতে পারি।’ একটি বিদেশে পরিচালিত কাবুল স্কুলে শেলাই কাজ শিখতেন মালিকা। পাঁচ বছর আগে অন্ধদের স্কুলে পড়ার জন্য উপজাতি অধ্যুষিত বামিয়ান উপত্যকা থেকে কাবুলে আসেন। তালেবানরা ক্ষমতায় আসার পর তিনি স্কুলে যেতে না পারায় গভীরভাবে হতাশ হয়ে পড়েন। বলেন, ‘অন্ধ হওয়া সত্ত্বেও আমার অনেক স্বপ্ন ছিল। নিজের দেশে বা বিদেশে ব্যবসা খোলার কথা ভেবেছিলাম।’ তবে হাল ছাড়েননি। হতাশার স্রোতে গা ভাসিয়ে দেননি। পাহাড়সমান বাধা মাড়িয়ে ঘুরিয়েছেন জীবনের মোড়। নিজের ও অন্যদের সহায়তা করার জন্য বেছে নিয়েছেন হস্তশিল্পের কাজ। একপর্যায়ে তার দিকে হাত বাড়ায় আফগানিস্তানে নারীদের সহায়তা প্রদানকারী একটি এনজিও সংস্থা অ্যাসেল। বর্তমানে দেশটির হাজার হাজার নারী জীবিকা নির্বাহ করছে ক্ষুদ্র কুটিরশিল্পের অনুপ্রেরক অ্যাসেল। মালিকাও তাদের মধ্যে একজন। সংস্থাটি স্থানীয়ভাবে তৈরি পণ্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে রপ্তানি করার মাধ্যমে অভাবী পরিবারগুলোকে সহায়তা করে। মালিকা এক বছর আগে এই প্ল্যাটফর্মে তার পণ্য বিক্রি করা শুরু করেন। প্রতি মাসে আয় করেন ৫০ ডলার (৪ হাজার ২৫০ আফগানি)।

দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
কুষ্টিয়ার স্বনামধন্য ইংলিশ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। স্বনামধন্য ইংলিশ প্রতিষ্ঠান CEL এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত ভূ-রাজনীতির ফাঁদে বাংলাদেশ শায়েস্তাগঞ্জ পূজা উদযাপন সাড়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ওসির! ইসরাইলের অভিযান নিয়ে যা বললেন পুতিন বেরিয়ে আসছে ব্যাটারদের হতশ্রী চেহারা নিউজিল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটের হার উন্নয়নের কারণে আমরা উন্নত জীবন যাপন করতে পারছি: শিক্ষামন্ত্রী মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ চার অগ্রাধিকার নীতি ঘোষণা চালকের কিস্তি আর সংসারের চাকা ঘুরাল ‘টিম পজিটিভ বাংলাদেশ’ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার পরিণতি ভালো হয় না: ফখরুল পিটার হাসের বক্তব্যের প্রতিবাদে যা বললেন সাংবাদিকনেতারা ‘কোনো চুক্তিতে দেশে ফিরছেন না নওয়াজ শরিফ’ পদার্থে নোবেল পেলেন ৩ জন ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট দমনে কঠোর অবস্থানে সরকার: বাহাউদ্দিন নাছিম সেপ্টেম্বরে সারা দেশে ১৫৭৭ অগ্নিকাণ্ড, ১১ প্রাণহানি ৩ মেয়েকে হত্যার পর নিখোঁজের নাটক মা-বাবার! এবার অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটালে রেহাই নেই: প্রধানমন্ত্রী এবার দুদকের মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৩ জনকে তলব ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট দমনে কঠোর অবস্থানে সরকার: বাহাউদ্দিন নাছিম ডেঙ্গুতে সহস্রাধিক মৃত্যু শক সিনড্রোমের রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে