
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

গোপনে ভিডিও ভাইরাল করলে সে দায় আমার নয় : রুনা খান

রোহিতকে কুকুর বলেছিলেন কঙ্গনা, কংগ্রেস মুখপাত্রের পালটা অভিযোগ

ভারতীয়দের হৃদয়ের মণিকোঠায় যেসব পাকিস্তানি অভিনয় ও সঙ্গীত শিল্পী

যে কারণে সুহানার নাম ‘মান্নাত’ রাখতে চেয়েছিলেন শাহরুখ

‘মাথায় বন্দুক ধরে আমার হাতে হাতকড়া পরানো হয়’

চলে গেলেন অভিনেত্রী অঞ্জনা

দৌলতদিয়ার ‘নীলা’ হয়ে ওঠার গল্প…
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে বাজে মন্তব্য করায় রেস্তরাঁ মালিককে পেটালেন সোহম!

অভিনয় করতে গিয়ে কানে এসেছিল তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে বাজে মন্তব্য। আর স্থির থাকতে পারেননি দলটির তারকা নেতা সোহম চক্রবর্তী। একটি রেস্তরাঁয় শুটিংয়ের মাঝেই ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়লেন তিনি। এমনকি সেই রেস্তরাঁর মালিকের সঙ্গে মারাত্মক হাতাহাতিও হয় অভিনেতার। সোহম নিজেও তা স্বীকার করেছেন। খবর একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যমে।
এরপর অবশ্য সোহমের শুটিং আর এগোয়নি। ফ্লোর ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। শুক্রবার ৭ জুন) কলকাতার নিউটাউনে একটি রেস্তরাঁয় এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ভাড়া নিয়ে রেস্তরাঁটির দোতলায় একটি সিনেমার শুটিং চলছিল। সন্ধ্যায় রেস্তরাঁ মালিক এসে দেখেন, সামনে একটি সাদা রঙের গাড়ি রাখা। তা নিয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। গাড়িটি ছিল সোহমের। নিরাপত্তারক্ষীরা তা জানানোর পর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সেই রেস্তরাঁ মালিক।
এ সময় রেস্তরাঁর দোতলায় শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন সোহম। বাইরে চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে তিনি বাইরে বেরিয়ে আসেন। ওই রেস্তরাঁ মালিকের সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে অভিনেতা নাকি সোজা মারধর শুরু করেন! খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ।
এ ঘটনায় সোহম বলেন, ‘রেস্টুরেন্ট মালিক নিরাপত্তারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন। সেই বিবাদ থামাতে গেলে তিনি আমাকে এবং আমাদের দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কটূক্তি করেন। গালিগালাজও করেন। পুলিশকে ডেকে রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।’
এদিকে রেস্তরাঁ মালিকের পাল্টা অভিযোগ, ‘বেআইনিভাবে পার্কিং নিয়ে সমস্যা শুরু হয়। সোহম রেস্তরাঁ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন। ঝগড়ার সময় সোহম রেস্তরাঁর কর্মচারীদের মারধর করেছেন।’
শুটিংয়ের মাঝে এমন ঘটনায় ছুটে গিয়েছিল থানা পুলিশ। তাঁরা অভিযুক্ত রেস্তরা মালিককে আটক করেছে। এরপর শুটিং বাতিল করে সেখান থেকে বেরিয়ে যান সোহম।
তবে এ ঘটনায় শনিবার (৮ জুন) দুপুরে ক্ষমা চেয়েছেন অভিনেতা-বিধায়ক। একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে এমন কাজ করা উচিত হয়নি বলে মন্তব্য তাঁর। সোহম বলেন, ‘আগে আমার ও আমার প্রযোজনা সংস্থার কর্মীদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছিল। অকথ্য গালিগালাজ করা হয়, কুকথা বলা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামেও। সেই সময় মাথা ঠিক রাখতে পারিনি। কিন্তু একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে এমন কাজ করা উচিত হয়নি। আমার ভুল হয়েছে।’
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।