
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

মামলা থেকে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার সুযোগ নেই: সিএমপি কমিশনার

রায়পুর থানা থেকে লুট হওয়া গুলিসহ ২ অস্ত্র উদ্ধার

দায়িত্বে ফিরতে সবার সহযোগিতা পাচ্ছে পুলিশ, গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ

সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় ২ আ.লীগ নেতা আটক

মেহেরপুরে ফেনসিডিলসহ আটক ৩

গ্যাস বাবুর ব্যবহৃত ৩টি মোবাইল উদ্ধারে ঝিনাইদহ যাচ্ছে ডিবি

ঝিনাইদহের আ.লীগ নেতা বাবুর ফের ৫ দিনের রিমান্ড চায় ডিবি
আটক আওয়ামীলীগ নেতা কাজী কামালকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে : হারুন

ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদকে আটক করা হয়েছে। তাকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়ে জানতে চাওয়া হচ্ছে। তবে এখনও তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতার দেখানো হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদে যদি তার কোনও ধরনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় তবে তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে।
শনিবার (৮ জুন) মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আনারের শরীরের উদ্ধার করা মাংসের ডিএনএ পরীক্ষার বিষয়ে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ডিএনএ পরীক্ষা করার জন্য এমপির পরিবারের সদস্যরা খুব দ্রুত ভারতে যাবেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। এছাড়া ভারতের তদন্ত কর্মকর্তারাও পরিবারের সদস্যদের নাম ও মোবাইল নম্বর নিয়েছে। শিগগিরই তারা ডাকবে। যদি তারা ডাকে তবে ধরে নিতে হবে ডিএনএ টেস্টের জন্য ডেকেছে।
বাংলাদেশের সিআইডির ল্যাবে পরীক্ষা করা যায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু হয় নাই, আর প্রশ্নও উঠেছে, সেখানে যাচ্ছে। আমি মনে করি সেখানে গেলে কম সময়ের ভেতরে হয়ে যাবে।
মূলহোতা আখতারুজ্জামান শাহীনকে ফেরানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শাহীন নেপাল থেকে দুবাই হয়ে আমেরিকা চলে গেছে। ভারতে যখন ছিলাম সেখানকার পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে, বৈঠক হয়েছে। যেহেতু ভারতে হত্যা হয়েছে সেহেতু শাহীন তাদের কাছে মোস্ট ওয়ান্টেড। আমরাও কাজ করছি, তারাও কাজ করছে। আমরা পুলিশ সদর দফতরে এনসিবি’তে কাগজপত্র জমা দিয়েছি। তারা হয়তো ইন্টারপোলের কাছে এসব বিষয় জানিয়েছে। বাংলাদেশের অ্যাম্বাসির সঙ্গে আমরা কথা বলছি। তবে এইটুকু বলতে পারি আনার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা যেখানে যেভাবে জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
হারুন আরও বলেন, সিয়ামকে ভারত নিয়ে গেছে। আনারকে হত্যা করে পৈশাচিক কায়দায় গুম করার বিষয়টি জানে সিয়াম ও জিহাদ। এ দুই জনই এখন তাদের কাছে রয়েছে। তাদের সঙ্গে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। প্রয়োজনে আমরাও সিয়ামকে জিজ্ঞাসাবাদ করবো। সিয়াম নেপালে আছে। সেই তথ্য পাওয়ার পরে আমরা এনসিবিকে চিঠি লিখেছি। এনসিবি দ্রুত কাঠমান্ডু এনসিবিকে তথ্য পাঠিয়ে বলেছে সিয়ামকে দ্রুত গ্রেফতার করতে।
তিনি বলেন, কাঠমান্ডুতে গিয়ে অপরাধীরা লুকিয়ে থাকে, মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে, সেখানে অপরাধের একটা রুট হয়ে গেছে। নেপালের একাধিক পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি। তাদের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন হোটেলে গিয়েছি। সব তথ্যই নিয়ে এসেছি। আমরা মনে করি এটা আমাদের একটা অর্জন, কারণ আমরা তথ্য দিয়েছি। ভারতও কাজ করছে। দুই দেশের তদন্ত কর্মকর্তারা পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করার কারণে ভালো ফল আসছে। আমরা যে তিন জনকে গ্রেফতার করেছি, তারাও দায় স্বীকার করেছে।
বাংলাদেশে আটককৃত আসামিদের ভারত নিয়ে যেতে পারবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, সেটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কথা বলতে হবে। আমরা আগেও যখন ভারত গিয়েছিলাম তখন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে গিয়েছিলাম।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।