আলোর পাঠাগার গ্রামে আলো ছড়াচ্ছে
“অন্ধকারে রই, না পড়িলে বই, তখনই আলোকিত হই, যখনি পড়িব বই” স্লোগানে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পৌরসভাধীন আলো ছড়াচ্ছে “আলোর পাঠাগার” নামে একটি পাঠাগার। এই পাঠাগারে স্থান পেয়েছে অনেক দুষ্প্রাপ্য বই। আর এ বই পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন স্থানীয় সহ দেশ বিদেশের পাঠকেরা।
পৌরসভাধীন লকলেজ মার্কের্ট (২য় তলা) কোর্টস্টেশনের দক্ষিন পার্শ্বে ভাড়া দোকানে এই পাঠাগার তৈরি করা হয়েছে। ২০১৪ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর মাসে এটি উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের পর থেকে দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে পাঠাগারটি। জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে স্থানীয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
“আলোর পাঠাগার” এ গিয়ে দেখা গেছে, আলমারিতে স্তরে স্তরে সাজানো রয়েছে অসংখ্য বই। স্থানীয় বাসিন্দা ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এখানে বসে বই পড়ছেন। পাশাপাশি অনেকে খবরের কাগজ পড়ছেন। শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, অনেক শিক্ষিত তরুণ, যুবক ও বয়স্ক মানুষ বই পড়তে এসেছেন। প্রতিদিন ১০-১৫ জন মানুষ আসেন পাঠাগারে। এখানে বর্তমানে ১৫২৭টি বই রয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বেশ কিছু বই সংরক্ষিত রয়েছে। ধর্মীয়, সাহিত্য, বিজ্ঞানমনস্ক, ইতিহাসমূলক, সংবাদপত্র, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স শিশু সাহিত্য ছাড়াও একাডেমিক বই রয়েছে।
বই পড়তে আসা তরুণেরা বলেন, এত সুন্দর পাঠাগার হবে এবং তাতে দুষ্প্রাপ্য বই পাওয়া যাবে, এটা আমরা ভাবিনি। কিছুদিন আগেও ছেলে-মেয়েরা মোবাইল গেমস ও বিভিন্ন সময় অপচয়মূলক কাজে জড়িয়ে পড়ত। কিন্তু পাঠাগার হওয়ায় ছেলে-মেয়েরা এখন এখানে বই পড়তে আসছে। বই পড়ে জ্ঞান লাভ করছে, বিকশিত হচ্ছে। অনেক বই আছে যেগুলোর নাম কখনো শোনাই হয়নি।
স্থানীয় শিক্ষক মোঃ রাছেল রান বলেন, “আলোর পাঠাগার” মানুষকে আলোকিত করার যে স্বপ্ন দেখছে, সেটি সবার আদর্শ হওয়া উচিত। তার স্বপ্নকে টিকিয়ে রাখতে হলে তাকে সবার সহযোগিতা করা দরকার। নিজস্ব ভবন না থাকায় আপাতত ভাড়ার একটি কক্ষে পাঠাগারের কার্যক্রম চলছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শেফাতুল ইসলাম বলেন, ‘বই পড়ার মাধ্যমে আমাদের তরুণদের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। আজেবাজে আড্ডা না দিয়ে এই গ্রন্থাগারে সময় দিচ্ছে, যা তাঁদের বিভিন্ন আসক্তি থেকে দূরে রাখছে।’
“আলোর পাঠাগার” এর রয়েছে একটি ওয়েব সাইট সেখানে প্রায় ৩৫০০ এর বেশি পিডিএফ বই আছে যা দেশ-বিদেশের সকল পাঠক বই পড়তে পারবে।
DTN RASEL RANA
(https://humanityfoundation.org.bd/)
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।