নিউজ ডেক্স
আরও খবর
বিচার বিভাগ থেকে যেন কোনো অবিচার না হয় : আইন উপদেষ্টা
গার্মেন্টস খাতে অস্থিতিশীলতায় প্রতিবেশী দেশের ইন্ধন: শ্রম সচিব
হত্যাকারীদের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে রেখে ভালো কিছু সম্ভব না: মির্জা ফখরুল
পিতাপুত্রের টাকা পাচার
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় কুষ্টিয়ার বিভিন্ন সরকারি কলেজের দাপুটে শিক্ষক মহোদয়দের অনৈতিক কার্যকলাপ
ত্রাণ নিয়ে মানুষ ছুটছে টিএসসিতে
ভারতের বাঁধ ভাঙা পানিতে ডুবছে গ্রামের পর গ্রাম
ইয়েমেনে অপহৃত সাবেক সেনা কর্মকর্তা সুফিউল দেশে ফিরেছেন
ইয়েমেনে অপহরণের শিকার জাতিসংঘের কর্মকর্তা লে. কর্নেল (অব.) সুফিউল আনাম দেশে ফিরেছেন। বুধবার বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। গোয়েন্দা সংস্থার একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে সূত্রটি জানায়, ইয়েমেনে আল কায়েদার হাতে অপহৃত জাতিসংঘের এই কর্মকর্তাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় উদ্ধার করা হয়েছে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চল থেকে অপহরণের শিকার হন বাংলাদেশের সাবেক সেনা কর্মকর্তা একেএম সুফিউল আনাম। এরপর থেকে কোনো খোঁজ মিলছিল না জাতিসংঘে কর্মরত এই কর্মকর্তার। ধারণা করা হয় অপহরণের পর তাকে হত্যা করে জঙ্গিগোষ্ঠী। প্রায় সাত মাস পর গত ৭ সেপ্টেম্বর ওই কর্মকর্তার একটি ভিডিও প্রকাশ করে জঙ্গিগোষ্ঠীদের অনলাইন তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ।
জানা যায়, আল কায়েদার ইয়েমেন শাখা অপহরণ করে অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল সুফিউলকে। আল কায়েদার দাবি দাওয়া মেনে নিজেকে মুক্ত করতে সুফিউল আকুতি জানান জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলকে। উল্লেখ করেন নিজের দুর্দশা ও শারীরিক দুরবস্থার কথা।
সুফিউল আনামকে মুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রী ও জাতিসংঘের মহাসচিব বরাবর চিঠিও পাঠায় তার পরিবার।
এ বিষয়ে তখন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, শুরু থেকেই ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে কথাও হয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। তবে মুক্তিপণ দিয়ে কোনো কর্মকর্তাকে ছাড়িয়ে আনার বিষয়ে নীতিগত বাধা আছে জাতিসংঘের। তাকে উদ্ধারে ঢাকায় নিযুক্ত ইয়েমেনসহ পাশের দেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়মিত চাপ দিয়ে আসছিল বাংলাদেশ।
১৯৭৭ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন একেএম সুফিউল আনাম। অবসরের পর ইয়েমেনে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।