
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

চলে গেলেন অভিনেত্রী অঞ্জনা

দৌলতদিয়ার ‘নীলা’ হয়ে ওঠার গল্প…

আনু মুহাম্মদের চোখে জয়ার সিনেমা ‘নকশী কাঁথার জমিন’

বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে স্বাগতাকে আইনি নোটিশ

বছরের শেষান্তে এসেও প্রশংসার রেশ ধরে রাখলেন ফারিণ

‘গালিগুলো মুছবো না, পুরস্কার হিসেবে রেখে দিলাম’ : চঞ্চল

আগামী ৬ জুলাই থেকে ‘শাকিব সপ্তাহ’
‘ঐশ্বরিয়াকে হেনস্তার কারণে’ ডুবতে বসেছিল সালমানের ক্যারিয়ার, টেনে তুলেন যে পরিচালক

বলিউডের নামকরা অভিনেতা সালমান খান। আশির দশকের শেষদিকে সিনেমায় হাতেখড়ি হয় তার। এরপর দিন যত গড়িয়েছে তার জনপ্রিয়তাও বেড়েছে। কিন্তু সাফল্যের চূড়ায় থাকতে থাকতেই হঠাৎ ছন্দপতন হয়েছিল ভাইজানের।
নানা বিতর্ক ঘিরে ধরলে নায়ক থেকে রাতারাতি ‘খলনায়ক’ বনে যান এই অভিনেতা। বলতে গেলে, ফিল্মি ক্যারিয়ারে খাদের কিনারায় পৌঁছে গিয়েছিলেন সালমান। এ অবস্থায় সালমানের টেনে তুলেন পরিচালক সতীশ কৌশিক।
মঙ্গলবার সেই পরিচালক সতীশের মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুতে সালমান খান ভেঙে পড়েছেন বলে আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। পরিচালকের শেষযাত্রায় সালমানের আবেগি চেহারা প্রকাশ্যে এসেছে। এরপরই সালমানের কেরিয়ারে সতীশের অবদানের কথা চর্চা শরু হয়েছে।
১৯৮৯ সালে ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ ছবির হাত ধরে বলিউডে নায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু হয় সালমানের। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
তবে নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে কেরিয়ারে খানিকটা ভাটার মুখে পড়েছিলেন সালমান। তার কয়েকটি ছবি ফ্লপ হয়। সেই সময় একের পর এক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়ে বক্স অফিস মাতান শাহরুখ খান।
১৯৮৮ সালে রাজস্থানের জোধপুরে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শ্যুটিং করছিলেন সালমান। ওই ছবির শুটিংয়ের সময় কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ উঠে সালমানের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়। এ বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই সালমান খান ও ঐশ্বরিয়া রাইয়ের প্রেমের গুঞ্জন উঠে।
সঞ্জয় লীলা ভানসালীর ছবি ‘হাম দিল দে চুকে সানম’ ছবির সময় সালমান ও ঐশ্বরিয়ার প্রেমের গুঞ্জন শুরু। এ সম্পর্ক পরে তিক্ততায় রূপ নেয়। ঐশ্বরিয়াকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে সালমানের বিরুদ্ধে।
ওই ঘটনায় সালমানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে ঐশ্বরিয়ার পরিবার। ২০০২ সালে মার্চ মাসে বিচ্ছেদ হয় এই তারকা জুটির।
একের পর এক বিতর্ক, সম্পর্কে ভাঙন— রাতারাতি বলিউড জনপ্রিয়তা কমতে থাকে সালমানের। ওই সময়ই সালমানকে তার আগের সিংহাসন ফিরিয়ে দেন পরিচালক সতীশ কৌশিক।
তৈরি হয় ‘তেরে নাম’ ছবি। ২০০৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। সালমানের কেরিয়ারে ‘তেরে নাম’ একটা মাইলফলক ছবি। কারণ, এই ছবির হাত ধরেই নায়কোচিত কায়দায় বলিপাড়ায় প্রত্যাবর্তন ঘটেছিল সালমানের।
অনেকেই বলে থাকেন, সতীশ কৌশিক যদি সেই সময় সালমানকে ‘তেরে নাম’ ছবিতে না নিতেন, তা হলে হয়তো ডুবেই যেত সালমানের ক্যারিয়ার।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।