কাজী নজরুলের ‘মৃত্যুক্ষুধা’ ও ‘কুহেলিকা’ প্রসঙ্গে – দৈনিক গণঅধিকার

কাজী নজরুলের ‘মৃত্যুক্ষুধা’ ও ‘কুহেলিকা’ প্রসঙ্গে

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৪ মে, ২০২৪ | ১০:৩৯
কাজী নজরুল ইসলামের ‘মৃত্যুক্ষুধা’ ও ‘কুহেলিকা’ প্রায় একই সময় প্রকাশিত দুটি উপন্যাস। এর মধ্যে ‘কুহেলিকা’ ১৩৩৪ সালে ‘নওরোজ’ পত্রিকার আষাঢ় সংখ্যায় প্রথম পরিচ্ছেদ, শ্রাবণ সংখ্যায় দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ পরিচ্ছেদ এবং ভাদ্র সংখ্যায় পঞ্চম পরিচ্ছেদ প্রকাশিত হয়। যদিও পঞ্চম পরিচ্ছেদ ‘কুহেলিকা’য় গ্রন্থিত হয়নি। ‘কুহেলিকা’র কয়েকটি পরিচ্ছেদ ‘মৃত্যুক্ষুধা’ উপন্যাসের আগে বের হলেও গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় প্রায় এক বছর পর, ১৩৩৮ বা ১৯৩১ সালে। আর ‘মৃত্যুক্ষুধা’ গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ১৯৩০ সালে অর্থাৎ ১৩৩৭ বৈশাখে। ‘মৃত্যুক্ষুধা’ রচনার সময়কালে লেখক সপরিবারে কৃষ্ণনগরে বাস করতেন। এ সম্পর্কে মুজফফর আহমদ লিখেছেন— “১৯২৬ সালের ২ জানুয়ারি নজরুল ইসলাম হুগলি ছেড়েছিল এবং সেইদিনই অল্প ক’ঘণ্টার ভিতরে সে কৃষ্ণনগরে পৌঁছে গিয়েছিল— মে মাস পর্যন্ত কৃষ্ণনগরে অনেকগুলো সম্মেলন হয়েছিল। –বঙ্গীয় প্রাদেশিক সম্মেলনের জন্য সে লিখেছিল ‘কাণ্ডারী হুঁশিয়ার’। –সম্মেলন ইত্যাদির ঝামেলা মিটে যাওয়ার পরে নজরুল ইসলাম কৃষ্ণনগরে একটা ভালো বাড়ি পেয়ে সেই বাড়িতে উঠে গেল। বাড়িটি ছিল স্টেশন রোডের ধারে। এক তলা ছোট বাড়ি হলেও খুব চওড়া ছিল তার বারান্দা। পাশে আমের বাগান ছিল এবং এত বেশি খোলা ময়দান ছিল যে, তাকে বাগান বাড়িও বলা যায়। বাড়ির মালিক ছিলেন একজন খ্রিষ্টান মহিলা। –এই জায়গাটা কৃষ্ণনগরের বিখ্যাত চাঁদ সড়ক এলাকা। শ্রমজীবী খ্রিষ্টান ও মুসলিমদের বাস এই এলাকায়। নজরুলের উপন্যাস ‘মৃত্যুক্ষুধা’ এই পরিবেশেই লিখা হয়েছে।” অন্যদিকে ‘নওরোজ’ ১৩৩৪ কার্তিক-অগ্রহায়ণ সংখ্যা প্রকাশিত হওয়ার পর বন্ধ হয়ে গেলে ‘কুহেলিকা’ ধারাবাহিকভাবে সাপ্তাহিক ‘সত্তগাত’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। অপরদিকে ‘কুহেলিকা’ উপন্যাসের প্রেক্ষাপট ‘মেস’। লেখকের মতে, “যে স্থানে আলোচনা চলিতেছিল, তাহা আসলে ‘মেস’ হইলেও হইয়া দাঁড়াইয়াছে একটি পুরোমাত্রায় আড্ডা। দুই তিনটি চতুষ্পায়া জুড়িয়া বসিয়া প্রায় বিশ-বাইশজন তরুণ। –একজন ইয়ারের ঊরু উপাধান করিয়া আর একজন ইয়ারের দুই স্কন্ধে দুই পা তুলিয়া দিয়া নির্বিকার চিত্রে সিগারেট ফুঁকিতেছে।” ‘মৃত্যুক্ষুধা’ উপন্যাসের সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের কারণে মনোমালিন্য, জাতপাতের সমস্যাসহ মনের মিলের অভাব দৃষ্টিগোচর হয়। ‘কুহেলিকা’ উপন্যাসে বিভিন্ন সমাজ ও পরিবার থেকে এসে মেসে অবস্থান করার ক্ষেত্রে মনের মিল ও সম-মানসিকতাসম্পন্ন থাকা অত্যাবশ্যকীয়। এবং হয়েছেও তাই। তা না হলে বিশ-বাইশজন তরুণের একই ‘মেসে’ থাকা অসম্ভব। ‘মৃত্যুক্ষুধা’ উপন্যাসের কয়েকটি মূল চরিত্র হলো মুক্তিসেনা আনসার, মেঝ বৌ, প্যাকাল ও কুর্শী। এদেরকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে উপন্যাসের স্তম্ভ। আর ‘কুহেলিকা’ উপন্যাসের মূল চরিত্রে আছে আনসার চরিত্রের মতোই আরেকটি বিপ্লবী চরিত্র প্রমত্ত, জাহাঙ্গীর ও ভূনী। যদিও ‘কুহেলিকা’র প্রমত্ত চরিত্র মৃত্যুক্ষুধার ‘আনসার’ চরিত্র অপেক্ষা অধিক বলিষ্ঠ। আনসার চরিত্রের কোনো নির্মিতি নেই, অনেকটা আকস্মিকভাবেই তার অবতরণ। স্বরাজ প্রতিষ্ঠায় তার কোনো পরিকল্পনার রূপরেখা নেই। বেশ অগোছালো। কিন্তু ‘কুহেলিকা’ উপন্যাসের প্রমত্ত সেই তুলনায় অনেক বেশি বলিষ্ঠ ও উজ্জ্বল। সে স্বরাজ প্রতিষ্ঠায় শুধু বিপ্লবীই হননি, দেখিয়েছেন কীভাবে জীবনবাজি রেখে স্বদেশকে সাম্রাজ্যবাদীদের করতল থেকে মুক্ত করতে হয়। আনসার ও প্রমত্ত চরিত্রের মধ্যে দেশপ্রেম থাকলেও সেটা প্রমত্ত চরিত্রের মধ্যেই প্রকাশ পেয়েছি বেশি। প্রমত্ত চরিত্রের ভাষার মধ্যেও রয়েছে আকর্ষণ, বলিষ্ঠতা ও উৎসব উদ্দীপনা সৃষ্টির গুণাবলি। জাহাঙ্গীরকে বিপ্লবী দলে যোগদানের প্রসঙ্গে প্রমত্তের উক্তি এখানে প্রণিধানযোগ্য— “যে মাটি ওদের ফুলে-ফলে-শস্যে-জলে জননীর অধিক স্নেহে লালনপালন করছে, সেই সর্বংসহা ধরিত্রীর, মূক মাটির ঋণের কথা তাদের স্মরণ করিয়ে দিতে হবে। তাদের রক্তে এই মন্ত্র জ্বালা করে ফিরবে যে জননীর স্তন্যপানের যদি কোনো ঋণ থাকে, তবে তারও চেয়ে বড় ঋণ আমাদের দেশজননীর কাছে যার জলবায়ু ও রসধারায় আমাদের প্রাণ-মন-দেহ অনুক্ষণ সঞ্জীবিত হয়ে উঠছে যে দেশ আমার পিতার জননী, আমার জননীর জননী। ...ওদের রক্তে এ-মন্ত্র ইঞ্জেক্ট করতে পারবি তোরা কেউ সমরেশ? সে-দিন ভারতের যে রাজরাজেশ্বরী মূর্তি আমি দেখব, তা আমি আজও দেখছি- আজও দেখছি আমার মানস-নেত্রে! গা দেখি সমরেশ, অনিমেষ! শোনা আমায় সেই সঞ্জীবনী-মন্ত্র! শোনা সেই গান— ‘দেবী আমার, সাধনা আমার স্বর্গ আমার, আমার দেশ।’ প্রমত্ত চক্ষু বুঁজিল। তাহার মুদিত চক্ষু দিয়া বিগলিত ধারে অশ্রু ঝড়িয়া পড়িতে লাগিল। ছেলেরা তাহার পায়ের ধুলায় ললাটা ছোঁয়াইয়া গাহিতে লাগিল— ‘দেবী আমার, সাধনা আমার স্বর্গ আমার, আমার দেশ।’” জাতপাত, আশরাফ-আতরাফ দ্বন্দ্ব মৃত্যুক্ষুধার ‘আনসার’ চরিত্রকে যেমন কলুষিত করতে পারেনি; তেমনি কুহেলিকার ‘প্রমত্ত’ চরিত্রকেও স্পর্শ করতে পারেনি। তাইতো মেঝ-বৌয়ের খ্রিষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার বিষয়টি ‘আনসার’ চরিত্রকে বিচলিত করতে পারেনি। অন্যদিকে মুসলমান ছেলেকে বিপ্লবী হিসাবে গ্রহণ করতে অন্যান্যদের সাথে বাকযুদ্ধ করতেও পিছপা হয়নি প্রমত্ত। আর প্রমত্ত যে, জাহাঙ্গীরকে বিপ্লবী হিসাবে গ্রহণ করে ভুল করেননি তার প্রমাণ রেখেছেন জাহাঙ্গীর। যদিও আসামি জাহাঙ্গীর নাম লিখিয়েছিলেন স্বদেশ কুমার। এখানে নাম পরিবর্তনের বিষয়টি খুব গুরুত্ব বহন করে। লেখক এখানে বোঝাতে চেয়েছেন স্বরাজ আন্দোলনে শুধু হিন্দুদেরই নয় শত সহস্র জাহাঙ্গীরদেরও ভূমিকা রয়েছে। বিপ্লবী বজ্রপাণি, প্রমত্তর সাথে জাহাঙ্গীরেরও দ্বীপান্তর হলো। আনসার ও প্রমত্ত চরিত্রের মধ্যে অসম্ভব রকমের মিল হলো দুজনে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন রক্তের বিনিময় ছাড়া দেশ স্বাধীন হবে না। ‘মৃত্যুক্ষুধা’ উপন্যাসে আমরা আনসারের মুখে শুনতে পাই— “আনসার বললেন, ‘সত্যি তাই। আমি আজ মনে করি যে, আর সব দেশ মাথা কেটে স্বাধীন হতে পারছে না, আর এ দেশ কি সূতা কেটে স্বাধীন হবে?’” অন্যদিকে ‘কুহেলিকা’ উপন্যাসের প্রমত্ত আগাগোড়াই বিপ্লবী। আনসার যেটা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন প্রমত্ত তা করে দেখিয়েছেন। পুলিশের হাতে দুজনই গ্রেফতার হন। গ্রেফতার হওয়ার পর আমরা অনুভূতির সন্ধান পাই শুধু ‘আনসার’ চরিত্রের মধ্যে। প্রমত্ত সেই সুযোগ পাননি। গ্রেফতার হওয়ার পর জনগণের উদ্দেশ্যে আনসারের ভাষণ ‘মৃত্যুক্ষুধা ও কুহেলিকা’ উপন্যাস লেখার সময়কালের প্রেক্ষাপট চিহ্নিত ও চিত্রিত করতে অত্যন্ত গুরুত্ববহ। কারণ তার ভাষণটি ছিল ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের জন্য বিস্ফোরক। আনসারের ভাষণটি ছিল নিম্নরূপ— “বন্ধগণ! –তোমরা তোমাদের অধিকারের দাবি কিছুতেই ছেড়ো না। তোমাদের হয়ত আমার মতো করেই শিকল পরে জেলে যেতে হবে, গুলি খেয়ে মরতে হবে, তোমারই দেশের লোক তোমার পথ আগলে দাঁড়াবে, সকল রকমের কষ্ট দেবে, তবু তোমরা তোমাদের পথ ছেড়ো না, এগিয়ে যাওয়া থেকে নিবৃত্ত হয়ো না। আগের দল মরবে বা পথ ছাড়বে, পিছনের দল তাদের শূন্যস্থানে গিয়ে দাঁড়াবে। তোমাদের মৃতদেহের ওপর দিয়েই আসবে তোমাদের মুক্তি। অস্ত্র তোমাদের নেই, তার জন্য দুঃখ করো না। যে বিপুল প্রাণশক্তি নিয়ে সৈনিকেরা যুদ্ধ করে, সেই প্রাণশক্তির অভাব যদি না হয় তোমাদের, তোমরাও জয়ী হবে। আর অস্ত্রই বা নাই বলব কেন? কোচোয়ান! তোমার হাতে চাবুক আছে? বুনো ঘোড়াকে পশুকে তুমি চাবুক মেরে শায়েস্তা কর, আর, মানুষকে শায়েস্তা করতে পারবে না? রাজমিস্ত্রী! তোমার হাতের কন্নিক দিয়ে ফুটগজ দিয়ে এত বাড়ি-ইমারত তৈরি করতে পারলে, বুনো প্রকৃতিকে রাজলক্ষ্মীর সাজে সাজালে— পীড়িত মানুষের নিশ্চিন্তে বাস করার স্বর্গ তোমরাই রচে তুলতে পারবে। আমার ঝাড়ুদার, মেথর ভাইরা, তোমরাই ত নিজেদের অশুচি অস্পৃশ্য করে পৃথিবীর শুচিতা রক্ষা করছ, নিজে সমস্ত দূষিত বাষ্প গ্রহণ করে, আয়ুক্ষয় করে, আমাদের পরমায়ু বাড়িয়ে দিয়েছ, আমাদের চারপাশের বাতাসকে নিষ্কুলুষ করে রেখেছ। তোমরা এত ময়লাই যদি পরিষ্কার করতে পারলে— তাহলে এই ময়লা— মনের ময়লা মানুষগুলোকে কি শুচি করতে পারবে না? তোমাদের মতো ত্যাগী করতে পারবে না? তোমাদের ঐ ঝাড়ু দিয়ে ওদের ঐ বিষ-ময়লা ঝেড়ে ফেলতে পারবে না? –তুমি চাষা? তুমি যে হাল দিয়ে মাটির বুকে ফুলের, ফসলের মেলা বসাও, সেই হাল দিয়ে কি এই অনুর্বর-হৃদয়, মানুষের মনে মনুষ্যত্বের ফসল ফলাতে পারবে না?” বিপ্লবীরা এমনি হয়। এরা আশাবাদী। আনসারের মুখের প্রতিফলনই যেন দেখি ১৯৭১ সালের বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ভাষণে বলেছিলেন, ‘তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে। …মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দিব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ।’ মৃত্যুক্ষুধাতে আমরা প্যাকালে ও কুর্শীর মধ্যে ফলপ্রসূ প্রেমগাঁথা দেখতে পাই। আরও দেখতে পাই আনসার, মেঝ বৌ ও রুবির ত্রিভুজ প্রেম। তবে মেঝ বৌ ও আনসারের প্রেমের বিষয়টি অব্যক্তই রয়ে গেছে ফলে পরিণতিও বিরহের। ‘কুহেলিকা’ উপন্যাসে জাহাঙ্গীর ও তাহমিনা ঔরফে ভূনীর প্রেমের মিলনও ব্যর্থ। বিরহ নজরুল ইসলামের উপন্যাস কিংবা ছোটগল্পে বিরল নয়। বরং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বেজেছে বিরহের সুর। জিনের বাদশার আল্লা রাখা-চানভানু, অগ্নিগিরির সবুজ-নূরজাহান এবং শিউলিমালার আজহার-শিউলির প্রেম কোনোটাই পূর্ণতা পায়নি। মৃত্যুক্ষুধা ও কুহেলিকায়ও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। তাই একথা বললে অত্যুক্তি হবে না যে, নজরুলের গল্পে উপন্যাসে মেলডি নয় ট্র্যাজেডিই সবসময় প্রাধান্য পেয়েছে। তবে সব কিছুর উপরে প্রাধান্য পেয়েছে স্বদেশপ্রেম। উপন্যাস দুটি কোন সময়কালের ফ্রেমে আবদ্ধ নয়। যেখানে সাম্রাজ্যবাদীদের থাবায় অত্যাচারিত ও নির্যাতিত কোনো জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্ত করার বাসনা করবে। কুহেলিকা ও মৃত্যুক্ষুধার দেশপ্রেমিক-বিপ্লবী চরিত্রগুলো তাদের প্রেরণার উৎস। আর এ দৃষ্টিতে উপন্যাস দুটি সর্বকালের সেরা উপন্যাসগুলোর মধ্যে গণ্য হবে— তাতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই।

দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ঠাকুরগাঁও ২ টাকায় চা-নাস্তা বিক্রি করেন নুর ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মাদকসহ গ্রেপ্তার ১ জন নাগরপুর একই উঠানে মসজিদ মন্দির ৫৪ বছর ধরে চলে পূজার কাজ আবরারের ৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে কুষ্টিয়াতে ছাত্র সমাবেশ ও দোয়ার অনুষ্ঠান পার্বত্য চট্টগ্রামে ইন্টারনেট বন্ধের কোনো নির্দেশনা নেই বিচার বিভাগ থেকে যেন কোনো অবিচার না হয় : আইন উপদেষ্টা গার্মেন্টস খাতে অস্থিতিশীলতায় প্রতিবেশী দেশের ইন্ধন: শ্রম সচিব হত্যাকারীদের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে রেখে ভালো কিছু সম্ভব না: মির্জা ফখরুল চাটমোহরে ছাত্রদল নেতা গুলিবিদ্ধ, কাটা হয়েছে পায়ের রগ দেশ গঠনের বার্তা দেবেন তারেক রহমান পিতাপুত্রের টাকা পাচার যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে: মুজিবুর রহমান বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় কুষ্টিয়ার বিভিন্ন সরকারি কলেজের দাপুটে শিক্ষক মহোদয়দের অনৈতিক কার্যকলাপ কুমারখালীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলোনে শহীদদের স্বরণে নাগরিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত। ত্রাণ নিয়ে মানুষ ছুটছে টিএসসিতে ভারতের বাঁধ ভাঙা পানিতে ডুবছে গ্রামের পর গ্রাম বন্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশ–ভারতের নতুন ব্যবস্থার প্রস্তাব: প্রধান উপদেষ্টার ২১ দশমিক ৬ শতাংশ টাওয়ার অচল চট্টগ্রামের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ বন্যার্তদের উদ্ধারে সেনা মোতায়েন