নিউজ ডেক্স
আরও খবর
তাহিরপুর বিভিন্ন ছড়া ও নদীর খনিজ বালু হরিলুট,যেন দেখার কেউ নেই
বগুড়ায় শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ১০১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
খুলনায় যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
চলন্ত ট্রেনে তরুণীকে ধর্ষণ মামলায় ৪ আসামি রিমান্ডে
উপজেলা চেয়ারম্যান হয়ে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়
বগুড়ায় তুচ্ছ ঘটনার জেরে মুরগির খামারিকে ড্রেনে চুবিয়ে হত্যা
গোয়ালন্দে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, অর্থের বিনিময়ে ধামাচাপা দিতে দৌড়ঝাপ
চকরিয়ায় হেলমেট পরিহিত গুলিবর্ষণকারীর ছবি-ভিডিও ভাইরাল
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়ায় সংঘর্ষে একজন নিহত এবং পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন আহত হওয়ার ঘটনায় ৬টি মামলা হয়েছে। একটি মামলার বাদী নিহত ফোরকানের স্ত্রী নুরুচ্ছফা। অন্য মামলার বাদী পুলিশ সদস্যরা। সংঘর্ষের সময় ইউএনও, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, এসিল্যান্ড এবং ওসির গাড়িতে হামলা করা হয়েছিল। ভিডিও ফুটেজ থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
জামায়াতের দাবি, হামলাকারীরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিএনপি-জামায়াতই পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে হামলা করেছে।
স্থানীয় একটি সূত্র বলছে, জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে অনেকের হাতে অস্ত্র দেখা গেছে। একজনের মাথায় ছিল লাল হেলমেট ও হাতে একনলা বন্দুক। স্থানীয়রা বলছেন, ওই ব্যক্তি চকরিয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি বেলাল উদ্দিন।
তবে বেলাল বলেন, ‘হেলমেট পরিহিত অস্ত্রধারী ব্যক্তি আমি নই। আমি কেন সেখানে গুলি করতে যাব?’
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবারের ঘটনায় পুলিশ কোনো গুলি ছোঁড়েনি। আমরা অনেক ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছি। জামায়াত নেতাকর্মীরা সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়ি ভাঙচুর করেছে। পুলিশের ওপর হামলা করেছে।’
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) শাকিল আহমেদ বলেন, সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে চকরিয়ায় সংঘর্ষের সময় হেলমেট পরিহিত অস্ত্রধারীদের কোনো ভিডিও এবং ছবি এখন পর্যন্ত দেখিনি, তবে শুনেছি। পুলিশ অস্ত্রধারীদের খুঁজছে।’
ঘটনার পর মিছিল থেকে গুলি করার একটি ভিডিও ও ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এতে সংঘর্ষের সময় হেলমেট পরিহিত কয়েকজনের হাতে অস্ত্র দেখা গেছে।
কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জাহেদুল ইসলাম দাবি করেন, চকরিয়ার সংঘর্ষে হেলমেট পরে নেতৃত্ব দিয়েছেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন আলমগীর। তিনি সরকার দলীয় সংসদ সদস্য জাফর আলমের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
তবে সংসদ সদস্য জাফর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘জামায়াত মিথ্যাচার করছে। কোনো কারণ ছাড়া পরিকল্পিতভাবে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের কেউ ঘটনাস্থলে ছিলেন না। শোক দিবসের কর্মসুচি ও বন্যা কবলিতদের ত্রাণ সহায়তায় ব্যবস্থায় ছিলেন সকলেই। পুলিশের ওপর হামলা হচ্ছে জেনেই নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।’
চকরিয়া থানার ওসি জাবেদ মাহমুদ জানিয়েছেন, পুলিশ কোনোভাবেই গুলিবর্ষণ করেনি। বরং পুলিশের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। সংঘর্ষে পুলিশের ৬ সদস্য আহত হয়েছেন।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।