চাঁদ দেখা গেছে, আগামী ১৭ জুন ঈদুল আজহা
আগামী ১৭ জুন (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। শুক্রবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় ১৪৪৫ হিজরি সনের জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা শেষে এ তথ্য জানানো হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে পবিত্র ঈদুল আজহার তারিখ নির্ধারণের লক্ষ্যে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। পরে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে চাঁদ দেখা যাওয়ার ঘোষণা দেন।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, দেশের সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শনিবার (৮ জুন) থেকে ১৪৪৫ হিজরি সনের জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে। ফলে আগামী ১৭ জুন (সোমবার) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
প্রতিবছর হিজরি বর্ষপঞ্জির জিলহজ মাসের ১০ তারিখ মুসলিমদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উদযাপন করা হয়। এদিন সারা দেশে মুসলমানরা মহান আল্লাহর অনুগ্রহের আশায় ঈদের জামাত শেষে পশু কোরবানি করেন। ত্যাগের মহিমায় সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের মুসলমানরাও দিনটি উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ইসলাম ধর্মমতে, নবী ইবরাহীম (আ.), তার স্ত্রী হাজেরা ও ছেলে ইসমাইলের ত্যাগের স্মৃতিবিজড়িত উৎসব ঈদুল আজহা। আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য মানুষ পশু কোরবানি দেয়। কোরআনে আল্লাহ ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘হে ইমানদাররা! তোমরা তোমাদের উপার্জিত হালাল মালের কিছু অংশ এবং আমি যা তোমাদের জন্য জমিন থেকে যা বের করেছি তার অংশ ব্যয় করো’ (বাকারাহ ২৬৭)। ওলামারা বলে থাকেন, এটি শুধু পশু কোরবানি নয়, নিজের পশুত্ব, নিজের ক্ষুদ্রতা, স্বার্থপরতা, হীনতা, অহংকারকেও কোরবানি করা।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।