বিভ্রান্তি নয় বরং বিবেকের দরজায় জানতে হয়
চাদঁ কিয়ামতের আলামত প্রকাশ করছে নাকী একত্ববাদী আল্লাহর মহিমা প্রকাশ করছে
বছর ঘুরে রহমত, মাগফিরাত আর নাজাতের সওগাত নিয়ে আবারো এসেছে পবিত্র মাহে রমজান। শুরু হয়েছে সংযম সাধনার মাস। খোশ আমদেদ মাহে রমজান, আল্লাহ তাআলার অধিক থেকে অধিকতর নৈকট্য লাভের সেরা সময়।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যার পর রমজানের প্রথম রোজায় দেশের সব স্থান থেকে চাঁদের নিচে তারা দেখেছেন সবাই। ঠিক এটি যেন আরবি হরফ ' বা'এর মত। এবছরের রমজানের প্রথম রোযাটি শুক্রবারে শুরু হয়েছে এটি সারা মুসলিম উম্মাহ্ জন্য মহান আল্লাহ তালার পক্ষ থেকে এক বিশেষ নিয়ামত।এমনই দিনে আকাশে চাঁদ ঊদিত হলো পৃথিবীতে এই প্রথম তাও ছিলো খুবই বিরল এক চাঁদ এ যেন,সৃষ্টিকর্তার নিদর্শন বহন করছে। চাঁদের নিচে তারা তাও একদম ঠিক চাঁদের মাঝবরাবর নিচে এ যেন জ্যামিতিক ক্যাম্পাস দিয়ে একেঁছেন কেউ। বিজ্ঞানীরা বলছেন এটি শুক্র গ্রহ,আবহাওয়াবীদরা বলছেন এটি জীবনে প্রথম দেখলাম এবং এর আগে এমন দৃশ্যের কথা আমরা শুনি নি।
এটি যদি শুক্র গ্রহ হয় তাহলে সেটি ঘুরতে ঘুরতে ঠিক শুক্রবারের দিনই উদিত হলো চাঁদের ঠিক একদম মাঝবরাবর নিচে তাও আবার রমজানের চাঁদ পূর্ব দিনে দেখা না দিয়ে প্রথম রমজানে দেখা দিলো এভাবে।এটি একটু ভেবে দেখলেই বুঝতে পারবেন এটি আর কিছু নয় এটি মহান সৃষ্টিকর্তার বিশেষ এক বার্তা ও নিয়ামত।
কেউ কেউ এটি কে কিয়ামতের আলামত বলে প্রকাশ করেছেন, সবাই সহীহুল জামে আস্ সাগীর, হাদীছ নং- ৫৭৭৪ এর রেফারেন্স টেনে বলছে চৌদ্দশ বছর আগে রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন কিয়ামতের আগে প্রথম রোজা হবে শুক্রবার দিন আর চাঁদের নিচে তারা থাকবে এটা কিয়া-মতের একটি লক্ষণ ।
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই হাদিসটি খুঁজতে গেলে দেখা যায়
কথাটি অন্যরূপ তাহলো মাসের প্রথম দিন আমরা চাঁদকে একেবারে চিকন ও সরু অবস্থায় উঠতে দেখি। কিন্তু কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে চাঁদ প্রথম দিনেই অনেক বড় হয়ে উদিত হবে। দেখে মনে হবে এটি দুই দিন বা তিন দিনের চাঁদ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ ‘‘কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার আলামত হচ্ছে, চন্দ্র মোটা হয়ে উদিত হবে। বলা হবে এটি দুই দিনের চাঁদ’’ - ইমাম আলবানী হাদীছটিকে সহীহ বলেছেন, সহীহুল জামে আস্ সাগীর, হাদীছ নং- ৫৭৭৪। হাদিসটিতে তারকার কথা উল্লেখ নেই তাই প্রথমেই বলা চলে রটানো কথাটাটি একদমই ভিওিহীন ও ভুল। আমরা আল্লাহর বিশেষ নিয়ামতকে কিয়ামতের আলামত ভাবছি বরং এটিই আমাদের মহা ভুল হচ্ছে নাতো একটু ভেবে দেখা যাক।
আসলে কিয়ামতের অনেক আলামতই ইতোমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে আমরা কিয়ামতের খুব সন্নিকটেই অবস্থান করছি তবে তা ঠিক এখনই কিয়ামত সংগঠিত হবে ঠিক এমন নয় কারন আপনি একটু চিন্তা করে দেখেন আমাদের দেশেই কত মসজিদে এক যোগে নামায হচ্ছে সারা বিশ্বেও এক যোগে সালাত আদায় হচ্ছে এখনও মানুষ তার সঠিক রব কে ডাকছে দিনে দিনে নতুন করে বেধর্মীরাও ইসলাম গ্রহণ করছে ইয়া আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে বোঝার তৌফিক দান করুন- আমিন।
কিয়ামত তখনই হবে যখন আল্লাহ ডাকার মানুষ থাকবে না। আমার তো মনে হয় " কিয়ামতের আগে আমরা মানুষ নিজেরাই নিজেদের ধ্বংস করে ফেলবো নাতো এই যেমন ধরুন তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের আভাস পাওয়া যাচ্ছে আর পারমানবিক বোমার ব্যাবহার যদি প্রতিটি পরাশক্তি দেশ করে তাহলে পৃথিবীর অস্তিত্ব কেমন হবে আপনি একটু ভেবে দেখুন। ইয়া আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন- আমিন।
কেননা এমন ধ্বংস লিলাই দাজ্জালের আবির্ভাব হবে কারন এই ফিতনাই দাজ্জালের ফিতনা হবে।
তাই প্রিয় ভাই ও বোনেরা রমজানের এই মাস আমরা আর সামনে পাবো কিনা জানি না এই রমজানই শেষ রমজান বলে মনে করে আল্লাহর অশেষ রহমত কে গ্রহণ করি এবং তার ইবাদতে মুশগুল থাকার তৈফিক আমাদের সবাই কে আল্লাহ পাক দান করুক এবং রমজানের এই চাঁদ এবছর যারা দেখেছে এবং মনে মনে আল্লাহর একাত্ববাদ স্বীকার করেছে মহান আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় এটি তারই নিদর্শন এটি মনে করে আল্লাহ কে বেশি বেশি করে যারা ডাকতে পারবে এবং আল্লাহর প্রেমে সকল পাপ কে পরিত্যাগ করবে তারাই এই প্রজন্মের সেরা মুসলিম ও মানুষ হিসেবে পরিগণিত হবে বলে আশা রাখছি।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।