নিউজ ডেক্স
আরও খবর
ইসলামী ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারলো না এস আলম!
লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২১৬ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আয় বেনাপোল কাস্টমসে
বেনাপোল বন্দরে আটকে পড়েছে পচনশীল পণ্যবাহী ৫০টির বেশি ট্রাক
অর্ধেকে নেমে গেছে আমদানি, শ্রমিক ও বন্দর কর্তৃপক্ষ দুশ্চিন্তায়
কলোটাকা সাদা করা নিয়ে সংসদে ২ এমপির পাল্টাপাল্টি অবস্থান
ক্যাশলেস লেনদেনের নতুন ফর্মুলা এফবিসিসিআই’র
ঈদের সপ্তাহে রিজার্ভ বেড়েছে ৩১ কোটি ৮৩ লাখ ডলার
চীনের ইউয়ানে রাশিয়াকে রূপপুরের ঋণের অর্থ দেবে বাংলাদেশ
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের জন্য রাশিয়ার কাছ থেকে নেওয়া ঋণ চীনের মুদ্রা ইউয়ানে পরিশোধ করবে বাংলাদেশ। ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর রাশিয়ার ব্যাংকগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে মার্কিন ডলারের বদলে চীনের মুদ্রা ইউয়ানে দ্বিপাক্ষিক লেনদেন নিষ্পত্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও রাশিয়া।
চীনের একটি ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ পেমেন্ট দেবে। আর চীনের সিআইপিএস বা ক্রস-বর্ডার ইন্টারব্যাংক পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে রাশিয়া অর্থ বুঝে পাবে। ইউয়ান-ভিত্তিক লেনদেন নির্ভর সিআইপিএস কিছু কিছু ক্ষেত্রে সুইফটের বিকল্প হিসেবে কাজ করে।
বাংলাদেশ একটি চীনা ব্যাংকের মাধ্যমে পেমেন্ট নিষ্পত্তি করবে, আর চীনের সিআইপিএস বা ক্রস-বর্ডার ইন্টারব্যাংক পেমেন্ট সিস্টেম এর মাধ্যমে রাশিয়ান পক্ষ অর্থ বুঝে পাবে। আন্তর্জাতিকভাবে প্রসিদ্ধ ব্যাংকিং লেনদেন ব্যবস্থা সুইফটের একটি সীমিত পরিসরের বিকল্প হলো ইউয়ান-ভিত্তিক লেনদেন নির্ভর সিআইপিএস।
২০২০ সালে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিষ্পত্তিতে বাংলাদেশের সাথে মুদ্রা অদলবদলের প্রস্তাব দেয় মস্কো। তবে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর সেখান থেকে পিছিয়ে আসে। এরপর রাশিয়ার তৈরি পেমেন্ট চ্যানেল- সিস্টেম ফর ট্রান্সফার অব ফিন্যান্সিয়াল ম্যাসেজেস (এসপিএফএস)- এ বাংলাদেশকে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। অন্যদিকে, বাংলাদেশ ২০১৮ সাল থেকে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা মজুতের অংশ হয়ে ওঠা ইউয়ানে বাণিজ্য নিষ্পত্তির প্রস্তাব দেয় রাশিয়াকে। পরে, রাশিয়া দাবি করে ইউয়ানকে রুপান্তরের সময় তাদের মূল্যগত লোকসান হবে, যা দিতে রাজি হয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর দীর্ঘ আলোচনা শেষে উভয় দেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিষ্পত্তি চীনের মুদ্রা ইউয়ানে বা রেনমিনবিতে করতে সম্মত হলো।
জানা গেছে, রূপপুর প্রকল্পের জন্য দেওয়া মোট প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার ঋণের বিপরীতে ৩১৮ মিলিয়ন ডলারের একটি কিস্তি পরিশোধ মুলতুবি আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক সংবাদমাধ্যমকে জানান, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে ঋণ পরিশোধ স্থগিত হয়ে যাওয়ায়– কোন ব্যবস্থায় পেমেন্ট করা হবে সে বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত প্রস্তাবনা ইআরডিতে পাঠিয়েছে। সেখান থেকে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় এবিষয়ে আরও বিস্তারিত জানাতে অস্বীকার করেন তিনি।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বার্ষিক বরাদ্দকৃত ঋণের অংশ অব্যবহৃত থাকলে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ২.৫ মিলিয়ন ডলার বার্ষিক প্রতিশ্রুতি ফি প্রদান করবে।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।