নিউজ ডেক্স
আরও খবর
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় কুষ্টিয়ার বিভিন্ন সরকারি কলেজের দাপুটে শিক্ষক মহোদয়দের অনৈতিক কার্যকলাপ
ত্রাণ নিয়ে মানুষ ছুটছে টিএসসিতে
ভারতের বাঁধ ভাঙা পানিতে ডুবছে গ্রামের পর গ্রাম
বন্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশ–ভারতের নতুন ব্যবস্থার প্রস্তাব: প্রধান উপদেষ্টার
২১ দশমিক ৬ শতাংশ টাওয়ার অচল
চট্টগ্রামের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ
বন্যার্তদের উদ্ধারে সেনা মোতায়েন
জাতিসংঘের আহ্বানকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত
সভা-সমাবেশে পুলিশের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ বন্ধে জাতিসংঘের আহ্বানকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার জন্যে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলছেন, জাতিসংঘ মানবাধিকারসংক্রান্ত হাইকমিশনের এই আহ্বান প্রমাণ করে, বিষয়টি জাতিসংঘ নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছে। বাংলাদেশেরও এ বিষয়ে করণীয় অনেক কিছু ঘাটতি আছে।
বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের স্বার্থে শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে সব রাজনৈতিক দল, এর সমর্থক এবং নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। এ লক্ষ্যে জনগণের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
শুক্রবার সংস্থার মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক প্রেস নোটে এ আহ্বান জানানো হয়।
প্রেস নোটে বলা হয়, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিরোধী দলগুলোর বেশ কয়েকটি সমাবেশে সহিংস হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস এবং জলকামান ব্যবহার করেছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠী অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচও একই রকমের বিবৃতি দিয়েছে।
জানতে চাইলে সাবেক রাষ্ট্রদূত এম শফিউল্লাহ শনিবার বলেন, জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার বিজ্ঞপ্তিতে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে পুলিশের অর্থাৎ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিমাত্রায় বলপ্রয়োগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এতে মনে হচ্ছে, জাতিসংঘ মানবাধিকার রক্ষার্থে বিষয়টি নিবিড়ভাবে মনিটরিং করছে।
সম্প্রতি জাতিসংঘের ঢাকার আবাসিক প্রতিনিধিকে তার কিছু মন্তব্যের জন্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে সরকারের অসন্তোষের কথা জানানো হয়। এখন জাতিসংঘের সদর দপ্তরের জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনারের দপ্তরের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সরাসরি বাংলাদেশের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা বিশেষ করে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের আওতাধীন নানা কার্যক্রমে বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যরা নিয়োজিত আছেন। বিশ্ব শান্তি রক্ষী হিসাবে কাজ করছে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশ বাহিনীর কর্মকাণ্ড যদি সীমা অতিক্রম করে তবে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত বিধিনিষেধের আশঙ্কা থেকে যায়।
জানতে চাইলে সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির শনিবার বলেন, জাতিসংঘের এই আহ্বানের মানে হলো, এ ব্যাপারে বাংলাদেশের করণীয় বিষয়ে ঘাটতি আছে।
যেহেতু আমরাও জাতিসংঘের সঙ্গে কাজ করি বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সংস্থাটি আমাদের সমর্থন দিয়েছে; ফলে বিষয়টি বাংলাদেশের গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা প্রয়োজন।
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিশ্বে তোলপাড় হচ্ছে। এখন অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ হলে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল বিবৃতি দেবে এটা স্বাভাবিক। ফলে ইস্যুটি জীবিত। এটা অবশ্যই বাংলাদেশের জন্য ভালো নয়।
এ ব্যাপারে সাবেক আইজিপি একেএম শহিদুল হক বলেন, রাজনৈতিক সহিংসতা দমনে পুলিশ সঠিক কাজই করেছে। জাতিসংঘ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশন্যালের পক্ষ থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের ওপর বলপ্রয়োগ ও অমানবিক আচরণের যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সঠিক নয়। যারা উচ্ছৃংখল আচরণ করবে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই বল প্রয়োগ করতে হবে। সারা বিশ্বেই এটা হয়। হাসপাতালের পাশে বিশৃঙ্খলা হলে সেখানেও বুলেট, টিয়ার গ্যাস এবং জলকামান ব্যবহার করা অন্যায় নয়।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।