
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যুদ্ধ-পরিস্থিতির মতো সতর্ক থাকতে বললেন ড. ইউনূস

কারাগারে থাকা সাবেক মন্ত্রীর স্ট্যাটাস ‘ভাইরাল’যা বলল কারা অধিদপ্তর

যে কারণে ভারতকে আর ছাড় দেবে না বিজিবি

সীমান্ত হত্যা বন্ধে যে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে বাংলাদেশ!

সাবেক ২ নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ১৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল কোথায়!

ইরান দূতাবাসের ঢাকায় ‘দেশে নয়া ইসলামি সভ্যতা গঠনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
জাহাঙ্গীর নীরব, আজমত সরব, বিএনপি চুপ

আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত গাজীপুরের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মেয়র জাহাঙ্গীর আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে নামার আভাস দেওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে নানা হিসাব-নিকাশ। তবে গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনের মাঠে জাহাঙ্গীর শেষ পর্যন্ত থাকতে পারবেন, নাকি মাঝপথেই সরে যাবেন– এ প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে মহানগরীতে। এ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মাঠে থাকলেও বিএনপি নেই। সংগঠনটির নেতাকর্মীরা একেবারে চুপ। বিএনপিহীন ভোটের মাঠে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর জয় সহজ, না কঠিন হবে– এই সমীকরণও মেলাচ্ছে নগরবাসী।
গতকাল রোববার দিনভর আওয়ামী লীগ প্রার্থী আজমত উল্লা খান দলীয় নেতাকর্মীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় আর নির্বাচনী নানা পরিকল্পনা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করলেও জাহাঙ্গীর ছিলেন একদম নীরব। গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথাও বলেননি তিনি। একটি সূত্র বলছে, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে থাকার ইঙ্গিত দেওয়ার পর থেকে দলীয় চাপে রয়েছেন বলেই হয়তো তিনি চুপসে গেছেন। আজমত উল্লা খান গতকাল দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও নগরের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে দেখা করেছেন, কথা বলেছেন টেলিফোনে। তবে জাহাঙ্গীরের সঙ্গে তাঁর কথা হয়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাহাঙ্গীরের ঘনিষ্ঠজন।
জাহাঙ্গীর আলমের পাশাপাশি নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামছেন ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটির সদস্য মামুন মণ্ডল। তিনি বলেন, নির্বাচিত ও ভারপ্রাপ্ত মেয়রের লুটপাট দেখেছে নগরবাসী। নগরের ভোটার ও জনগণের পূর্ণ সমর্থন নিয়েই আমি নির্বাচনের মাঠে নেমেছি। তারা চায় উন্নয়ন, আমি উন্নয়ন করব। মিথ্যা আশ্বাস দিতে পারি না। দিই না কখনও।’
এদিকে, সিটি নির্বাচন নিয়ে বিএনপির তোড়জোড় না থাকলেও দলটির নেতা সাবেক সংসদ সদস্য হাসান উদ্দিন সরকার প্রস্তুতি নিয়ে রাখছেন নীরবে। কেন্দ্র থেকে নির্দেশ পেলেই তিনি দলবল নিয়ে নেমে পড়বেন নির্বাচনের মাঠে। হাসান সরকার বলেন, ‘নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে এখনও কোনো সংকেত পাইনি। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এ নির্বাচনে অংশ নেব না।’
অন্যদিকে, আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার আসামি কারাবন্দি নুরুল ইসলাম সরকারের ছেলে সরকার শাহ নুর ইসলাম রনী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে নামছেন। টঙ্গীর ভোটারদের পাশাপাশি বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর রনীর প্রতি সমর্থন রয়েছে। জাহাঙ্গীর আলম নির্বাচনে অংশ না নিলে রনী সরকারই হবেন আজমত উল্লা খানের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী– এমনই গুঞ্জন চলছে নগরজুড়ে। গাজীপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি এম এম নিয়াজ উদ্দিন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমানও নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন জানান, দল তাঁকে মনোনয়ন দিয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিনি জয়ী হবেন বলে আশাবাদী।
সিটি নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খান জয়ী হবেন বলে আশা করছেন তাঁর কর্মী-সমর্থকরা। কেউ কেউ বলছেন, জাহাঙ্গীর শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকলে নৌকার জয় কঠিন হবে। আজমত উল্লা খান বলেন, ‘যাঁরা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও পাননি, আমি তাঁদের সঙ্গেও কথা বলব; আমার দলের নেতৃত্বের সঙ্গেও কথা বলব। আমি বিশ্বাস করি, আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব যদি বিশ্বাস করেন, তাহলে দলের যে কোনো সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নিতে হবে।’
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।