নিউজ ডেক্স
আরও খবর
বিচার বিভাগ থেকে যেন কোনো অবিচার না হয় : আইন উপদেষ্টা
গার্মেন্টস খাতে অস্থিতিশীলতায় প্রতিবেশী দেশের ইন্ধন: শ্রম সচিব
হত্যাকারীদের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে রেখে ভালো কিছু সম্ভব না: মির্জা ফখরুল
পিতাপুত্রের টাকা পাচার
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় কুষ্টিয়ার বিভিন্ন সরকারি কলেজের দাপুটে শিক্ষক মহোদয়দের অনৈতিক কার্যকলাপ
ত্রাণ নিয়ে মানুষ ছুটছে টিএসসিতে
ভারতের বাঁধ ভাঙা পানিতে ডুবছে গ্রামের পর গ্রাম
জুলাইয়ে সড়কে গড়ে ১৮.৪৮ জনের মৃত্যু
দেশে জুলাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে ১৮ দশমিক ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। অথচ জুনে মৃত্যুর ওই গড় ছিল ১৭ দশমিক ২ জন। জুনের তুলনায় জুলাইয়ে সড়কে প্রাণহানি বেড়েছে ৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
সোমবার রোড সেফটি ফাউন্ডেশন গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাইয়ে দেশে মোট সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫১১টি। এতে ৫৭৩ জন নিহত এবং ১ হাজার ২৫৬ জন আহত হয়েছেন। নিহতের মধ্যে নারী ৯৪ জন ও শিশু ৭৬ জন। সবচেয়ে বেশি ৩৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে মোটরসাইকেলে। ১৮৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৮৩ জন নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ৩১ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
জুলাইয়ে সড়কের পাশাপাশি ১৪টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত, ২৩ জন আহত এবং ১১ জন নিখোঁজ রয়েছেন। একই সময়ে ৩৩টি রেল দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত এবং ১২ জন আহত হয়েছেন। বিভাগ বিবেচনায় সড়ক দুর্ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে ঢাকায়। ওই মাসে ঢাকা বিভাগে ১৭৪টি দুর্ঘটনায় ১৭০ জন নিহত হন। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২০টি দুর্ঘটনায় ৩১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। একক জেলা হিসাবেও ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ৪২টি দুর্ঘটনায় ৪০ জন নিহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে শরীয়তপুর ও বান্দরবান জেলায়। এ দুই জেলায় ৫টি করে দুর্ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। রাজধানী ঢাকায় ৩২টি দুর্ঘটনায় ২৯ জন নিহত এবং ৩৭ জন আহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনার ধরন উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫১১টির মধ্যে ২১৭টিই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে; যা মোট দুর্ঘটনার ৪২.৪৬ শতাংশ। এছাড়া ১৯.১৭ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২৮ দশমিক ১৮ শতাংশ পথচারীকে চাপা বা ধাক্কা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণে জানা যায়, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২০৮টি (৪০ দশমিক ৭০ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ১৯৬টি (৩৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৬১টি (১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে এবং ৪২টি (৮ দশমিক ২১ শতাংশ) শহরের সড়কে ঘটেছে।
প্রতিবেদনে সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে ত্র“টিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতাসহ ১০টি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। দুর্ঘটনা কমাতে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সড়ক আইন বাস্তবায়নসহ ১০টি সুপারিশও করা হয়েছে।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।