
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

চাঞ্চল্যকর সেই শিশু ধর্ষণের ঘটনায় মামলা, বোনের স্বামী-শ্বশুরসহ গ্রেফতার ৪

সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় হিজবুত তাহরীরের ৩৬ সদস্য গ্রেফতার

‘মেইড ইন পাকিস্তান’ লেখা অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার

দিনে লরি, রাতে জাহাজ থেকে তেল চুরি

ডাক্তারের কাছে নেওয়ার কথা বলে নারীকে ধর্ষণ, আটক ২

ভুয়া নথির ঋণ ছাড়ে এসকে সুরের প্রভাব

ঢাকায় ছিনতাইয়ের ৪৩২ হটস্পট
ডিবি কার্যালয়ে মোবাইল আনতে মামুনুল হক

হেফাজত ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হক প্রায় আড়াই ঘণ্টা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে ছিলেন। শনিবার (১৮ আগস্ট) রাত পৌনে ৮টার দিকে ডিবির কার্যালয় থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নেওয়ার জন্য ডিবি কার্যালয়ে এসেছিলেন।
মামুনুল হক বলেন, আমাকে যখন গ্রেফতার করা হয়েছিল, তখন মামলার আলামত হিসেবে আমার মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়েছিল। সেই মোবাইল ফোনটি নিতে আজকে ডিবি কার্যালয়ে এসেছি।
ডিবি কার্যালয়ে মামলা সংক্রান্ত কোনও বিষয় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে ডিবি ডাকেনি এবং মামলা সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। আমাকে যখন গ্রেফতার করা হয়েছিল, তখন মামলার আলামত হিসেবে আমার মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়েছিল। সেই মোবাইল ফোনটি ফিরে পেতে ডিবি কার্যালয়ে এসেছি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মামুনুল হকসহ ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক।
১৫ দিন ১৮ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে এনে মামলা দায়ের করেন রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া সেই নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। গ্রেফতারের পর থেকে এসব মামলায় কারাগারে ছিলেন মামুনুল হক। গত ৩ মে সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।