
নিউজ ডেক্স
থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন ২২ আগস্ট

থাইল্যান্ডে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২২ আগস্ট দেশটিতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি (এমএফপি) নেতা পিটা লিমজারোয়েনরাত। ‘পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে পিটাকে মনোনয়ন দেওয়া যাবে না’-আদালতের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে একটি পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। সেই পিটিশন প্রত্যাখ্যান করে থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত বুধবার এ সিদ্ধান্ত নেন। অন্যদিকে ক্ষমতার লোভে মরিয়া হয়ে উঠেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার ফিউ থাই পার্টি। সরকার গঠনের আশায় পুরাতন বন্ধু ছেড়ে সামরিক দলের জোটে ডিগবাজি দিয়েছে দলটি।
প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য শ্রেথা থাভিসিনকে মনোনয়ন দিয়েছে ফিউ থাই পার্টি। নির্বাচনে জিততে শ্রেথাকে যৌথ নিম্ন ও উচ্চকক্ষের অর্ধেকেরও বেশি সমর্থনের প্রয়োজন হবে। থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হতে হলে মোট ভোটের প্রয়োজন হয় ৩৭৬টি। চলতি বছরের গত ১৪ মে নির্বাচনে ফিউ থাই পার্টি মোট ৩৩৯টি আসন জিতেছিল। তাই সরকার গঠনে তাদের আরও সিনেটর ভোটের প্রয়োজন হবে ৩৭টি।
তবে সরকার গঠনে ফিউ থাই পার্টিকে সমর্থন দেবে না মুভ ফরওয়ার্ড পার্টি (এমএফপি)। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা নিশ্চিত করেছেন এমএফপি দলের সেক্রেটারি জেনারেল চৈথাওয়াত তুলথন। বলেন, ‘এই সরকার গঠন হলে তাতে জনগণের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে না। এই সরকার গঠনের চেষ্টা জনগণের চাওয়ার প্রতিফলন নয়।’ আরও বলেন, ‘আমরা এই পরিস্থিতিতে সরকার গঠনে কোনো অংশ নিতে চাই না।’
এই ঘোষণার পর মুভ ফরওয়ার্ড পার্টির সমর্থন ছাড়াই শ্রেথা বিজয়ী হবেন আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন ফেউ থাই নেতা চোলনান শ্রীকাইউ। বলেন, ‘আমরা মুভ ফরোয়ার্ডর সিদ্ধান্তকে সম্মান করি। আর আমরা সব দলের সঙ্গে কাজ করতে সক্ষম।’ প্রথম প্রচেষ্টাতেই শ্রেথা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জয় লাভ করবে বলে এমএফপির ঘোষণার আগে জানিয়েছিল ডেপুটি লিডার ফুমথাম ওয়েচায়াচাই। ফুমথাম বলেন, দলটি সিনেট থেকেও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। এমএফপির সঙ্গে জোট থেকে বের হয়ে পালং প্রচারথ পাটি (পিপিআরপি) ও ইউনাইটেড থাই নেশন (ইউটিএন) পার্টির সঙ্গে নতুন জোট গঠনের কথাও জানিয়েছিলেন তিনি।
গত মাসে মুভ ফরোয়ার্ড নেতা পিটা লিমজারোয়েনরাত প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য মোট দুবার প্রতিদ্বন্দ্বিদ্বতা করেন। কিন্তু সিনেটরদের ভোট না পাওয়ায় তিনি সরকার গঠনে ব্যর্থ হন। পিটার ব্যর্থতার পর ফিউ থাই পার্টি থেকে প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচনের জন্য প্রার্থী মনোনয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সিদ্ধান্ত বদলায় ফিউ থাই পার্টি। এমএফপি জোট থেকে সরে গিয়ে যোগ দেন সেনা সমর্থিত ‘চাচা দলগুলোর’ সঙ্গে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে ফিউ থাই পার্টির তিক্ত অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও এই জোটে অংশ নেয় তারা। ফিউ থাই পার্টি ক্ষমতাকালীন সময়ে ২০০৬ ও ২০১৪ সালের অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিল সেনারা।
সমালোচকরা বলছেন, মুভ ফরওয়ার্ড পার্টি প্রধানমন্ত্রী পদে না জেতার পেছনে রয়েছে ফিউ থাইয়ের হাত। তবে ফেউ থাই জানিয়েছেন, পিটা পরপর দুইবার এই দল আইন সভার সমর্থন জিততে না পারার পরই তারা তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করেছিল।
এদিকে পিপিআরপি এমপি ফাই লিক জানান, দলের ৪০ জন এমপি নিঃশর্তভাবে ফেউ থাই প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীকে ভোট দেবেন। এমনকি সিনেট থেকেও সাত ভোটের নিশ্চয়তাও দিয়েছেন তিনি।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।