নিউজ ডেক্স
আরও খবর
বিচার বিভাগ থেকে যেন কোনো অবিচার না হয় : আইন উপদেষ্টা
গার্মেন্টস খাতে অস্থিতিশীলতায় প্রতিবেশী দেশের ইন্ধন: শ্রম সচিব
হত্যাকারীদের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে রেখে ভালো কিছু সম্ভব না: মির্জা ফখরুল
পিতাপুত্রের টাকা পাচার
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় কুষ্টিয়ার বিভিন্ন সরকারি কলেজের দাপুটে শিক্ষক মহোদয়দের অনৈতিক কার্যকলাপ
ত্রাণ নিয়ে মানুষ ছুটছে টিএসসিতে
ভারতের বাঁধ ভাঙা পানিতে ডুবছে গ্রামের পর গ্রাম
দুই বিচারপতির পদত্যাগ দাবি আদালত অবমাননা
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা দেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির পদত্যাগ দাবি করে আদালত অবমাননা করেছেন বলে অভিযোগ করেছে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি।
রোববার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সম্পাদক আবদুন নূর দুলাল এ অভিযোগ করেন।
উল্লেখ্য, ১৫ আগস্ট শোক দিবসের আলোচনাসভায় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বিচারকদের ‘শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ এবং বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী ‘বিদেশি শক্তির মাথা ঘামানো’ নিয়ে বক্তব্য দেন। এরপর জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সংবাদ সম্মেলন করে ওই দুই বিচারপতির শপথ ভঙ্গ হয়েছে বলে উল্লেখ করে এবং তাদের পদত্যাগ দাবি করে।
রোববার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক আবদুন নূর দুলাল বলেন, বিচারপতিদের সম্পর্কে কটূক্তি করে জাতীয় আইনজীবী ফোরামের নেতারা গর্হিত কাজ করেছেন। সুস্পষ্টভাবে তারা আদালত অবমাননা করেছেন।
বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আইনজীবী ফোরামের নেতারা আপিল বিভাগের দুই বিচারপতি সম্পর্কে কটূক্তি করেছেন। বিচারপতিদের বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করেছেন বিএনপির আইনজীবীরা- এমন অভিযোগ করে দুলাল বলেন, শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ অর্থ দলীয় রাজনীতিবিদ নয়। আমাদের সংবিধান একটি রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক দলিল। দেশের সর্বোচ্চ আইন। সম্মানিত বিচারপতিরা সেই সংবিধানের রক্ষক। সেই সংবিধান চর্চা করেন তারা। গণতন্ত্রের ওপর তারা ভার্ডিক্ট (রায়) দেন। আইনের শাসনের ওপর তারা ভার্ডিক্ট দেন, সামরিক জান্তার কর্মকাণ্ডের ওপর ভার্ডিক্ট দেন। বিচারপতিরা শপথের মধ্যে থেকেও প্রতিনিয়ত রাজনীতি করেন, শপথের বাইরে গিয়ে নয়। রাজনীতি করতে রাজনৈতিক দল করা লাগে না।
আবদুন নূর দুলাল বলেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম তার বক্তব্যে দেশ ও জাতির প্রতি তার বুদ্ধিমত্তা, দেশপ্রেম, দায়িত্ববোধ এবং মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭০ সালে গণতন্ত্রে জিতেছিল বাংলাদেশ। তখন পাকিস্তান ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। বরং আমাদের ওপর জঘন্যতম বর্বর হামলা করেছিল। সেদিন গণতন্ত্র ছিল বাংলাদেশের পক্ষে, মানবাধিকারও ছিল বাংলাদেশের পক্ষে। সেদিন কী ভূমিকা ছিল তাদের (বিদেশিদের)? আজ তারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের নামে মায়াকান্না কাঁদছে, হুমকিধমকি দিচ্ছে।
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকিরের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বারের নির্বাচিত কার্যকরী পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।