নিউজ ডেক্স
আরও খবর
পিতাপুত্রের টাকা পাচার
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় কুষ্টিয়ার বিভিন্ন সরকারি কলেজের দাপুটে শিক্ষক মহোদয়দের অনৈতিক কার্যকলাপ
ত্রাণ নিয়ে মানুষ ছুটছে টিএসসিতে
ভারতের বাঁধ ভাঙা পানিতে ডুবছে গ্রামের পর গ্রাম
বন্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশ–ভারতের নতুন ব্যবস্থার প্রস্তাব: প্রধান উপদেষ্টার
২১ দশমিক ৬ শতাংশ টাওয়ার অচল
চট্টগ্রামের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ
না.গঞ্জে অনেকে অনেক কথা বলে, গালাগাল করে: শামীম ওসমান
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে অনেকে অনেক কথা বলে। গালাগাল করে। আমি শুনি না। আল্লাহকে চেনার চেষ্টা করছি। গিবত করা যে কত খারাপ তা কুরআনে বলা আছে। নারায়ণগঞ্জে যারা গিবত করেন তাদের বলতে চাই, এগুলো করে লাভ হবে না। আমার স্বপ্ন আমি নারায়ণগঞ্জকে নতুন বৌয়ের মতো সাজাতে চাই।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলের লক্ষ্মী নারায়ণ কটন মিলস উচ্চ বিদ্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী, নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
জেলা মহিলা সংস্থার সভাপতি সালমা ওসমান লিপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া, নাসিক ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতি, নাসিক ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকন প্রমুখ।
শামীম ওসমান বলেন, আমি ক্ষমা চাচ্ছি জাতির পিতার কাছে। আপনি আমাদের স্বাধীন রাষ্ট্র দিয়েছেন আর আমরা আপনাকে সপরিবারে হত্যা করেছি। পাকিস্তান সাহস পায়নি, ব্রিটিশরা সাহস পায়নি। মোশতাকরা সাহস করতে পেরেছিল। বাইরে থেকে সমর্থন দেয়া হয়েছে এবং ভেতর থেকে দরজা খুলে দেয়া হয়েছে। আমার রাজনীতি করার কথা। উন্নত বাংলাদেশে থাকার কথা। হত্যা করা হয়েছিল আমাদের শৈশবকে, যৌবনকে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয় তখন আমি ছোট ছিলাম। আমার বাবা সামান্য কিছু অস্ত্র হাতে নিয়ে প্রতিবাদ গড়ার জন্য চেষ্টা করছিল। আমার বড় ভাই অস্ত্র হাতে বেরিয়ে পড়েছিল। খন্দকার মোশতাক আমার বাসায় ফোন করেছিল। আমি ফোন ধরি, বলেছিলাম আব্বা বাসায় নেই। আমার মা ফোন নিয়েছিলেন। মোশতাকের প্রস্তাবে মা বললেন, আমার স্বামী যদি আপনার মন্ত্রী সভায় যোগ দেয় প্রথমে চেষ্টা করবো তাকে হত্যা করতে। তা না পারলে নিজে আত্মহত্যা করবো। ভাত খেতে ভাত পাইনি। বড় ভাই সেলিম ওসমান ইন্টারমিডিয়েটের ছাত্র। তাকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করেছিল। আমি আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলছি মানুষের সমস্যা দেখলে ওরা পাগল হয়ে যায়। করোনার সময় আমরা পাগল হয়ে গিয়েছিলাম। কিছু করতে পারছিলাম না। শুধু নামাজ পড়ে আল্লাহকে খুশি করতে চেয়েছি। বড় বোনের বিয়ে দিয়েছিলাম মসজিদে জিলাপি দিয়ে। অনেকে সেসময় কামিয়েছিলেন। মানুষের সম্পত্তি দখল করেছিলেন। চোরের মার বড় গলা লোকে বলে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৪ সালে বড় ভাইয়ের বিয়ের জন্য আমার বাবা হীরা মহল বন্ধক রেখেছিল। ৪৪ হাজার টাকার জন্য আমাদের বাড়ি নিলাম হয়ে গিয়েছিল। আজ যারা কথায় কথায় রূপ বদলায়। কখনো কাক কখনো কোকিল। তারা কেউ এগিয়ে আসেনি। অন্য দলের লোকেরাও আমার বাসায় এসেছিলেন। কেউ নাস্তা নিয়ে, আবার কেউ চালের বস্তা পাঠাতেন।
শামীম ওসমান বলেন, আপনারা জেনে খুশি হবেন আমরা ডিএনডি প্রজেক্ট করেছি। ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড দেশের সবচেয়ে সুন্দর রোড হয়েছে। আমি চাইনি কিন্তু এটার নাম আমার মায়ের নামে দেয়া হয়েছে। আমার বড় ভাইয়ের নামে সেতু দিয়েছেন। আমরা দিতে বলিনি, আমাদের বলতে হয় না। আমরা মানুষের ভালবাসা চাই। বঙ্গবন্ধু কন্যার সৈনিক হিসেবে কাজ করতে চাই।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে পাঁচশ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের কাজ কিছুদিনের মধ্যে শুরু হবে। বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুরু হবে। শেখ কামাল আইটি ইনস্টিউটের কাজ শুরু হবে। এগুলো সব আমরা করেছি। কিন্তু এখানে বসবাস করবে কারা। আজ অনেকে অনেক কথা বলছে। শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জে নিষিদ্ধ পল্লি উঠিয়ে দিয়েছিলাম।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।