
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

জলবায়ু সংকট এড়াতে সৎ হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

মহাসাগর নদী রক্ষায় বিবিএনজে’তে স্বাক্ষর করলেন প্রধানমন্ত্রী

‘বাংলাদেশ সরকার সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এসডিজি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’

ঘুষের রেট নির্ধারণকারী এসিল্যান্ড সাময়িক বরখাস্ত

আইএসইউ ওয়ার্ল্ডকাপ জিনিয়াস কুইজ প্রতিযোগিতার লোগো উন্মোচন

চার বছরের শিশু ধর্ষণহত্যায় জামিন স্থগিত, তুষারকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

বিমান কেবিন ক্রু ইউনিয়নের নেতৃত্বে আবির-লোটাস
পদ দখল করতে এ কেমন নৃশংসতা!

নরসিংদীর মাধবদীতে একটি ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং ফিনিশিং কারখানার এক শ্রমিককে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পদ দখল করতে এ নৃশংস ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে রোববার দুপুরে মাধবদীর ভগিরথপুর হাজী সফিউদ্দিনের মালিকানাধীন নিলা ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং ফিনিশিং মিলের ৩ তলার একটি কক্ষ থেকে নিহতের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৯ জনকে থানায় আনা হয়।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, কারখানার রং মাস্টারের পোস্ট দখল করতে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেন তারই সহকর্মীরা। মৃত্যুর দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও নিহতের মরদেহ স্বজনদের দেখতে দেয়নি কারখানা কর্তৃপক্ষ।
নিহত নেজামূল ইসলাম ওরফে নাজমুল (৪০) নিলা ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং ফিনিশিং মিলের রং মাস্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি থানার নেহালিয়া কান্দা গ্রামের কুদ্দুস আলীর ছেলে।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ নাজমুলকে পিটিয়ে ও ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মাধবদীর ভগিরথপুর হাজী সফিউদ্দিনের মালিকানাধীন নিলা ডাইং এন্ড প্রিন্টিং ফিনিশিং মিলের ভেতরে একটি মরদেহ পড়ে আছে- এমন খবরের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে যায়। পরে কারখানার ভেতরে থেকে মাথা নিচের দিকে ও পা উপরের দিকে একটি জানালার গ্রিলে বাঁধা অবস্থায় একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ওই সময় কারখানার মেঝেতে প্রচুর পরিমাণ রক্ত ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। পরে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এদিকে শ্রমিক নিহতের খবর পেয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের একটি দল ও নরসিংদী পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহত নাজমুলের শ্যালক কিরন জানান, ১০ বছর যাবত তার ভগিনীপতি এই কারখানায় রং মাস্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার মৃত্যু খবর পেয়ে কারখানায় এসে দেখি তার রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে। এর কারণ জানতে চাইলে আমাদের কারখানা থেকে বের করে দেয়। এর পর আমাদের আর কারখানার ভেতর ঢুকতে দেয়নি।
নিহতের আরেক স্বজন সুজন মিয়া জানিয়েছেন, রং মাস্টারের জায়গা নিতে চেয়েছিল নাজমুলের অধীনে থাকা এক সহকর্মী। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আমার দুলাভাইকে কয়েকজন মিলে পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে ও অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেছে।
এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষকে ফোন দিলেও তারা কেউ ফোন রিসিভ করেনি।
মাধবদী থানার ওসি তদন্ত তরিকুল ইসলাম জানান, কারখানার ভেতরে নিহতের মাথা নিচের দিকে ও পা উপরের দিকে একটি জানালার গ্রিলে বাঁধা অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করেছি। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি নাজমুলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মিলের ৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে এর চেয়ে বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।