নিউজ ডেক্স
আরও খবর
বিচার বিভাগ থেকে যেন কোনো অবিচার না হয় : আইন উপদেষ্টা
গার্মেন্টস খাতে অস্থিতিশীলতায় প্রতিবেশী দেশের ইন্ধন: শ্রম সচিব
হত্যাকারীদের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে রেখে ভালো কিছু সম্ভব না: মির্জা ফখরুল
পিতাপুত্রের টাকা পাচার
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় কুষ্টিয়ার বিভিন্ন সরকারি কলেজের দাপুটে শিক্ষক মহোদয়দের অনৈতিক কার্যকলাপ
ত্রাণ নিয়ে মানুষ ছুটছে টিএসসিতে
ভারতের বাঁধ ভাঙা পানিতে ডুবছে গ্রামের পর গ্রাম
পুলিশের বাধার মুখে ও রাস্তায় বিক্ষোভ
বকেয়া বেতনের দাবিতে মালিকের বাড়ি ঘেরাও
দু'টি রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানার ১২০০ শ্রমিক তিন মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে মালিকের বাড়ি ঘেরাও করার চেষ্টা করে। পরে তারা পুলিশের বাধার মুখে রাস্তায় বিক্ষোভ করে ফিরে যায়।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণখানের কসাইবাড়ী এলাকার ইন্ট্রাকো ডিজাইন ও ইন্ট্রাকো ফ্যাশন লিঃ এর প্রায় ১২০০ শ্রমিক তিন মাসের বকেয়া বেতন আদায়ে সকাল ১০টার সময় কারখানা থেকে বেরিয়ে বনানী ডিওএইচএস এলাকায় মালিকের বাড়ি ঘেরাও এর উদ্দেশ্যে পদযাত্রা শুরু করে। এসময় শ্রমিকরা- 'মালিকের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান....পুলিশ দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না' এসব শ্লোগান দিতে থাকেন।
বেলা পৌনে ১টার দিকে শ্রমিকদের বিক্ষোভ মিছিলটি বনানী ফ্লাইওভারের সামনে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে শ্রমিকরা রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান। এসময় বনানী ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। একপর্যায়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে তারা বিক্ষোভ তুলে নিয়ে কারখানায় ফিরে যান। পুলিশ ভ্যানে শ্রমিকদের কারখানায় পৌঁছে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, 'ইন্ট্রাকোর শ্রমিকরা তিন মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে বিশাল মিছিল নিয়ে সকালে দক্ষিণখান থেকে বনানী ডিওএইচএস এলাকায় মালিকের বাড়ি ঘেরাও করার চেষ্টা করেছিল। পরে আমরা তাদের সমাধানের আশ্বাস দিলে তারা কারখানায় ফিরে যায়।'
তিনি আরো বলেন, 'আমি তিন মাস ধরে দক্ষিণখান থানায় এসেছি। আসার পর থেকেই দেখছি এই কারখানায় বেতন নিয়ে সমস্যা। এর আগেও শ্রমিকদের বেতন আদায় করে দিয়েছি। আমাদের একটি টিম কারখানার মালিক ইলিয়াস পাটোয়ারীর বাড়িতে গিয়েছে কথা বলতে। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি, এই মালিকের বেতন দেওয়ার সামর্থ্য আছে। তবুও এমন করে। শ্রমিকরা ন্যায্য দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছে। আমি তাদের পক্ষে। প্রয়োজনে মালিকের সম্পদ বিক্রি করার চাপ দিয়ে শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার ব্যবস্থা করব।'
শ্রমিক নেতা জয়নাল আবেদীন বলেন, 'মালিক ভিআইপি এলাকা যেখানে সব বড় লোকেরা থাকেন। তাই সেখানে পুলিশ আমাদের যেতে দেয়নি। যেতে দিলে পুলিশের চাকরি থাকবে না। আমরা আগামীকাল পর্যন্ত সময় দিলাম। আগামীকালকের মধ্যে যদি এর সমাধান না হয় তাহলে সারা বাংলাদেশের গার্মেন্ট শ্রমিক রাস্তায় নামবে। তখন সব বড়লোকের ঘুম হারাম হয়ে যাবে। আমরা না খেয়ে মরব, আর তারা শান্তিতে ঘুমাবে। তা হবে না।'
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।