
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যুদ্ধ-পরিস্থিতির মতো সতর্ক থাকতে বললেন ড. ইউনূস

কারাগারে থাকা সাবেক মন্ত্রীর স্ট্যাটাস ‘ভাইরাল’যা বলল কারা অধিদপ্তর

যে কারণে ভারতকে আর ছাড় দেবে না বিজিবি

সীমান্ত হত্যা বন্ধে যে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে বাংলাদেশ!

সাবেক ২ নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ১৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল কোথায়!

ইরান দূতাবাসের ঢাকায় ‘দেশে নয়া ইসলামি সভ্যতা গঠনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি মনে করে কাঁদলেন মসিউর

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কেঁদেছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। তিনি বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্যে থেকে তার পার্সোনাল সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সেই স্মৃতি তুলে ধরে মসিউর বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতো উদার মনের মানুষ আমি আর দেখিনি। এ সময় তিনি বিভিন্ন সময়ের এবং ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরেন।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) বঙ্গবন্ধুকে কাছে থেকে দেখা-তৃতীয় পর্ব শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি স্মৃতিচারণ করে কেঁদে ফেলেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিআইডিএস সম্মেলনকক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ড. মসিউর রহমান। বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, জাতীয় সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন এবং প্রবীণ রাজনীতিবিদ মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
ড. মসিউর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আমার শেষ দেখা হয় ‘৭৪ সালে যখন আমি বিদেশে ডক্টরেট করতে যাই তখন। আমি ও আমার স্ত্রী বিদায় নেওয়া জন্য ওনার বাসায় যাই। সেখানে একজন রাষ্ট্রের প্রধান হয়েও বঙ্গবন্ধু নিজেই নিচে নেমে এসে আমার মতো ছোট কর্মচারীর গাড়ির দরজা খুলে দেন। আমার স্ত্রীর মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করেন। পরে আমাকে তিনি বলেন, টাকাপয়সার কোনো সমস্যা হলে আমাকে ও অথবা ফরাস উদ্দিনকে বললে টাকা পাঠিয়ে দেবে। কষ্ট করার দরকার নেই। পড়ালেখা শেষ করে আবার দেশে ফিরে আসিও। এ কথা বলার সময় তার কণ্ঠ জড়িয়ে আসে। বাকরুদ্ধ হয়ে যান। চোখের পানি মুছতে দেখা গেছে তাকে।
বিভিন্ন সময়ের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে মসিউর বলেন, বঙ্গবন্ধুর সমাজতন্ত্র ছিল সাধারণ মানুষের কল্যাণে। তিনি ভিন্নমতের হলেও স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নেওয়া যে কোনো নেতার উপকার করতে ভাবতেন না। কমিউনিস্টসহ বাম দলের বড় বড় নেতাদের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল নিবিড়। তিনি খুব সহজে তাদের কাছে টানতেন।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।