বাঁশ শুনলেই আঁতকে ওঠেন, খেলে যে উপকার হয়
বাঁশের সব্জি খাওয়ার চল ইতোমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। বিভিন্ন রেস্টুরেন্টেও তৈরি করা হচ্ছে বাঁশের খাবার। যা তরুণদের মাঝে ভিন্ন এক আকর্ষণ হিসাবে কাজ করে।
এ দিকে, বাঁশের মধ্যে রান্না পরিবেশন করা হলেও বাঙালিরা রান্নায় বাঁশের ব্যবহার করেন না। অনেকেই জানেন না, কচি বাঁশ খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনই এর স্বাস্থ্যগুণও প্রচুর। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে ওজন ঝরার ক্ষেত্রে- এই সব্জির জুড়ি মেলা ভার।
ডায়েটে রাখতে পারেন কচি বাঁশ-
১. হজমে সাহায্য করে: হজমের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। এই সমস্যা দূর করতে নানা রকম ওষুধ খেতে হয়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাতে কাজ হয় না। ডায়েটে কচি বাঁশ রাখলে হজমের সমস্যা দূর হয়। এ ছাড়া ফ্যাট দূর হয়, পেটে সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে।
২. হৃদ্যন্ত্র ভালো রাখে: কচি বাঁশে ভরপুর মাত্রায় ফাইটোস্টেরল থাকে। এই যৌগ রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে শরীরে রক্ত চলাচলে ভালো হয়, হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
৩. হাড় ভালো থাকে: কচি বাঁশে ভালো মাত্রায় ম্যাঙ্গানিজ ও ক্যালশিয়াম থাকে। এই দুই উপাদান হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এ ছাড়াও এতে ভিটামিন সি বেশ ভালো পরিমাণে থাকে। ভিটামিন সি হাড়ে বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থ শোষণ করতে সাহায্য করে।
৪. ওজন কমাতে সাহায্য করে: কচি বাঁশে ক্যালোরির মাত্রা খুবই কম এবং ফাইবারের মাত্রা বেশি। ডায়েটে এই সব্জি রাখলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে। ফলে ভাজাভুজি, রাস্তার খাবার খাওয়ার ইচ্ছা কমে। তাই ওজন ঝরার প্রক্রিয়াও তরান্বিত হয়।
৫. ত্বকের জেল্লা বাড়ায়: কচি বাঁশে সিলিকা নামে যোগ থাকে। এই যৌগ শরীরে কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। কোলাজেন উৎপাদন বাড়লে ত্বকের জেল্লাও বাড়ে।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।