নিউজ ডেক্স
আরও খবর
বিচার বিভাগ থেকে যেন কোনো অবিচার না হয় : আইন উপদেষ্টা
গার্মেন্টস খাতে অস্থিতিশীলতায় প্রতিবেশী দেশের ইন্ধন: শ্রম সচিব
হত্যাকারীদের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে রেখে ভালো কিছু সম্ভব না: মির্জা ফখরুল
পিতাপুত্রের টাকা পাচার
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় কুষ্টিয়ার বিভিন্ন সরকারি কলেজের দাপুটে শিক্ষক মহোদয়দের অনৈতিক কার্যকলাপ
ত্রাণ নিয়ে মানুষ ছুটছে টিএসসিতে
ভারতের বাঁধ ভাঙা পানিতে ডুবছে গ্রামের পর গ্রাম
বাংলাদেশ এখন অনেক উন্নত দেশ থেকেও এগিয়ে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন , স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দিতে হবে, প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে, ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে হবে। কাজে লাগাতে হবে সম্ভাবনাকে।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সকাল ১০টার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা কক্ষে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’র প্রথম সভায় অংশ নিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ কথাটি প্রথম সামনে আসে ২০০৮ সালে। ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশে’ করার কথা বলা হয়। এই পরিকল্পনার লক্ষ্য একটি জ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক দেশ গঠন করা। কিন্তু বিরোধীদলসহ অনেকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ নিয়ে নানা ব্যঙ্গ করেন।
স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের সভায় প্রধানমন্ত্রী সেই বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, ‘নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, আমরা সেটি পূরণ করেছি। অথচ এ নিয়ে আমাদের ব্যঙ্গ করা হতো। যারা ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে ব্যঙ্গ করেছিল এখন তারাই নানা অপপ্রচারে এটির বেশি ব্যবহার করছে।’
‘এবার সরকারের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করা। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গভর্নমেন্ট- এ চারটি মূল ভিত্তিকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সরকার একটি সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছে।-বলেন শেখ হাসিনা।
স্মার্ট দেশ গঠনে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে সরকার কাজ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন অনেক উন্নত দেশ থেকেও এগিয়ে। সরকার দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে কাজ করছে।
প্রযুক্তির উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্রুত ইন্টারনেট ব্যবহারে সাবমেরিন ক্যাবলের ব্যবস্থা করেছি। আমাদের প্রতিটি টেলিফোন ছিল এনালগ। আমরাই প্রথম উদ্যোগ নিয়ে ডিজিটাল টেলিফোন চালু করি। আর মোবাইল ফোন ঢাকা আর চট্টগ্রাম ছাড়া কোথাও চলত না। একটামাত্র কোম্পানি ছিল, মোবাইলে কল করলে ১০ টাকা প্রতি মিনিট, ধরলেও ১০ টাকা প্রতি মিনিট। সেই জায়গা থেকে আমাদের প্রচেষ্টা ছিল মানুষের হাতে হাতে মোবাইল পৌঁছে দেওয়া। আজকে কম খরচে কথা বলা, ইন্টারনেট চালাচ্ছে সবাই।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, প্রযুক্তি আমাদের অনেক সুযোগ করে দেয়। আমরা সেগুলো কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি। এখন আমাদের দেশের মানুষ মোবাইল-ইন্টারনেট ব্যবহার করা শিখেছে। আমরা চাই সবাই প্রযুক্তিগত দিকে দক্ষ হয়ে উঠুক।
নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী কাজ করায় সবক্ষেত্রেই দেশের উন্নতি হচ্ছে বলে অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।