নিউজ ডেক্স
আরও খবর
বিচার বিভাগ থেকে যেন কোনো অবিচার না হয় : আইন উপদেষ্টা
গার্মেন্টস খাতে অস্থিতিশীলতায় প্রতিবেশী দেশের ইন্ধন: শ্রম সচিব
হত্যাকারীদের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে রেখে ভালো কিছু সম্ভব না: মির্জা ফখরুল
পিতাপুত্রের টাকা পাচার
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় কুষ্টিয়ার বিভিন্ন সরকারি কলেজের দাপুটে শিক্ষক মহোদয়দের অনৈতিক কার্যকলাপ
ত্রাণ নিয়ে মানুষ ছুটছে টিএসসিতে
ভারতের বাঁধ ভাঙা পানিতে ডুবছে গ্রামের পর গ্রাম
‘বারেবারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান’—এবার আর সেটা হবে না: ফখরুল
আওয়ামী লীগ ‘নির্বাচন নির্বাচন’ খেলা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেন, এবার আওয়ামী লীগের ফাঁদে দেশের জনগণ পা দেবে না। ‘বারেবারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান’—এবার আর সেটা হবে না।
রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিকল্প নেই’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।
আওয়ামী লীগ ভয়ভীতি-ত্রাস ছড়িয়ে দেশের মানুষের মুখ বন্ধ করে রাখছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির মহাসচিব। বলেন, দেশে এত টিভি চ্যানেল, কয়টি গণতন্ত্রের কথা বলে, ভিন্নমত তুলে ধরে? সুশীল সমাজের কেউ টক শোতে কথা বলেন না, পত্রিকায় লেখেন না। দেশের মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে আছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই তো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নেই। তাহলে বাংলাদেশে কেন? আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামিকে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছিল। তারা সে সময় বলেছিলো যে বাংলাদেশে যে দল ক্ষমতায় যায় পরে তারা ফের ক্ষমতায় থাকার জন্য ম্যানিপুলেশন করে। এমনকি আওয়ামী লীগ ওই দাবিতে দেশে তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়ে দিয়েছিল। বাসের মধ্যে গানপাউডার দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারলো। একপর্যায়ে খালেদা জিয়া সে সময় দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন।
তিনি বলেন, অথচ বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ছিল গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। দলমত নির্বিশেষে সবার একটা মত ছিল যে বাংলাদেশ হবে গণতান্ত্রিক। জনগণের ভোটে নির্বাচিত একটি সংসদের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা হওয়ার কথা। কিন্তু আওয়ামী লীগ নিজেরাই ১৯৭৫ সালে সেই পদ্ধতি নষ্ট করে ফেলেছে। কারণ আওয়ামী লীগ সবসময় সামন্ততন্ত্রে থাকতে চায়। তাদের মধ্যে জমিদারি ভাব সবসময় থাকে। তারা ভিন্নমতকে সহ্য করতে পারে না। সেজন্যই সে সময় তিরিশ হাজার তরুণ যুবককে হত্যা করেছে। কারণ তারা সবদিক থেকে ব্যর্থ হয়েছিল। জনগণ তাদের বিরুদ্ধে এমন ক্ষেপে গিয়েছিল যে তারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল কায়েম করেছিল।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান। বক্তব্য রাখেন বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান প্রমুখ।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।