যে প্রতিশ্রুতি ভালোবাসার বন্ধন দৃঢ় করে

জীবনের অর্ধেক সময় যার সঙ্গে কাটাতে হবে তার সঙ্গে বোঝাপড়া ঠিক না হলে জীবন পার করা কঠিন হয়ে যায়। আর এ কঠিন পরিস্থিতিতে যেন পড়তে না হয়, তার জন্যই জীবনে একজন যত্নশীল সঙ্গীর গুরুত্ব অনেক।
একে অপরকে সম্মান দেওয়া- যেকোনো সুন্দর সম্পর্কের মূল ভিত্তি হলো একে অপরের প্রতি সম্মান রাখা। যদি কখনো সঙ্গীর সঙ্গে কোনো বিষয়ে মতের অমিলও হয়, তবুও একে ওপরের প্রতি সম্মান এবং শ্রদ্ধা বজায় রেখে কথা বলতে হবে। এই প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে পারলে সম্পর্কে তিক্ততা আসার সম্ভাবনা খুবই কম।
ক্ষমা করা- জীবনে ক্ষমা করতে পারা জরুরি। যেহেতু জীবনে চলতে গেলে আমরা অনেক ভুল করে থাকি। তাই একে অপরের প্রতি ক্ষমা করার মানসকিতা থাকতে হবে। যদি এই মানসিকতা না থেকে থাকে, তবে এই প্রমিজ ডে’তে আপনার সঙ্গীকে এই প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন।
অতীতকে বর্তমানে টেনে না আনা- একে অপরের সঙ্গে জীবন কাটালে বিভিন্ন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। অনেক ভুলত্রুটি হয়ে থাকে। যদি কেউ কোনো ভুল করে থাকে এবং নিজের ভুল বুঝতে পারে তবে এটি বার বার টেনে না আনাই ভালো। এতে সম্পর্কে তিক্ততা বাড়ে। তাই একে অপরের সঙ্গে অতীতকে বার বার টেনে না আনার প্রতিশ্রুতি করা ভালো।
কখনও রাগ করব না- রাগ আমাদের সহজাত প্রবৃত্তির মধ্যে একটি, যেকোনো পরিস্থিতিতেই তা দেখা দিতে পারে। এর ওপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ থাকে না। তাই এমন অবাস্তব প্রতিজ্ঞা করা সম্পর্কের ক্ষেত্রে ঠিক না।
কোনো অভ্যাস ত্যাগ করার প্রতিশ্রুতি- সঙ্গীর অপছন্দ হওয়ার কারণে অনেক সময়ই কোনো অভ্যাস ত্যাগ করার প্রতিশ্রুতি দেন অনেকেই। সবসময় ভেবেচিন্তে সময় নিয়েই কোনো প্রতিশ্রুতি দেওয়া উচিত। যা রাখতে পারবেন না সে প্রতিশ্রুতি না দেওয়াই ভালো।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।