
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যুদ্ধ-পরিস্থিতির মতো সতর্ক থাকতে বললেন ড. ইউনূস

কারাগারে থাকা সাবেক মন্ত্রীর স্ট্যাটাস ‘ভাইরাল’যা বলল কারা অধিদপ্তর

যে কারণে ভারতকে আর ছাড় দেবে না বিজিবি

সীমান্ত হত্যা বন্ধে যে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে বাংলাদেশ!

সাবেক ২ নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ১৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল কোথায়!

ইরান দূতাবাসের ঢাকায় ‘দেশে নয়া ইসলামি সভ্যতা গঠনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
রমেক হাসপাতালে জনবল সংকটে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে জনবল সংকটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। রোগীরা হচ্ছেন কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত। জনবল সংকটের বিষয়টি একাধিকবার ঊর্ধ্বতন মহলে জানানো হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া হাসপাতালের কিছু নার্স ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর বিরুদ্ধে রোগীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৫০০ শয্যার জনবল দিয়ে হাসপাতালে চলছে ২ হাজারের বেশি রোগীর চিকিৎসাসেবা। ১ হাজার ৮৭৫ জন জনবলের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন ১ হাজার ৫৯৯ জন। শূন্য রয়েছে ৩৩৯টি পদ। এতে চিকিৎসাসেবায় ব্যাঘাত ঘটছে। এছাড়া হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে রয়েছে নোংরা পরিবেশ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষের উন্নত চিকিৎসার একমাত্র আশ্রয়স্থল রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এখানে শয্যা সংখ্যা ১০০০ হলেও জনবল রয়েছে ৫০০ শয্যার। রয়েছে ইনডোর, আউটডোর, জরুরি বিভাগ ও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস। এছাড়া ডায়রিয়া ট্রেনিং ইউনিট, ইপিআই প্রোগ্রাম, ইওসি কার্যক্রম, ডক্টরস কর্নার, এম আর ক্লিনিক, মডেল ফ্যামিলি প্ল্যানিং ক্লিনিক, ব্রেস্ট ফিডিং সেন্টার, সমাজসেবাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালু রয়েছে। এছাড়া বর্তমানে হাসপাতালে আধুনিক সিসিইউসহ মোট ৪২টি ওয়ার্ড, ১২টি ওটি, ১০ শয্যার আইসিইউ, ২৫ শয্যার ডায়ালাইসিস ইউনিট, ৬ শয্যার ডে-কেয়ার ইউনিট, ভায়া সেন্টার, ব্রেস্ট ক্যানসার স্ক্রিনিং সেন্টারে রোগীদের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চালু রয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা গেছে, প্রথম শ্রেণির ও অন্যান্য মঞ্জুরিকৃত পদের সংখ্যা ৩২২ জন। এখানে জনবল রয়েছে ২২৭ জন। শূন্যপদ রয়েছে ৯৫টি। দ্বিতীয় শ্রেণির নার্স ও অন্যান্য পদের সংখ্যা রয়েছে ৯৯৩ জন। এখানে কর্মরত রয়েছেন ৯৭০ জন। শূন্যপদ রয়েছে ২৩টি। তৃতীয় শ্রেণির ১০৫টি পদের বিপরীতে কাজ করছেন ৬৬ জন। এখানে শূন্যপদ রয়েছে ৩৯টি। চতুর্থ শ্রেণির ৪৪৫টি পদের বিপরীতে কাজ করছেন ২৬৩ জন। এখানে শূন্য পদ রয়েছে ১৮২ জনের।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৫০০ শয্যার এ হাসপাতাল ১ হাজার শয্যায় উন্নীত করা হলেও প্রতিদিন এখানে ২ হাজারের বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালে বিভিন্ন সময় শয্যা বৃদ্ধি এবং চিকিৎসাসেবার পরিধি বাড়ালেও সেই তুলনায় জনবল বাড়ানো হয়নি। এতে বেড়েছে রোগীদের দুর্ভোগ। তারা কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না।
হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, ভবনের বাইরের যত্রতত্র পড়ে রয়েছে ময়লা-আবর্জনা। বিভিন্ন ওয়ার্ডের পাশে থাকা পাবলিক টয়লেটগুলোর দরজা ভাঙা ও নোংরা, জরাজীর্ণ। চিকিৎসা নিতে আসা তারাগঞ্জের আমেনা বেগম বলেন, দুদিন ধরে আমার ছেলের সঙ্গে হাসপাতালে আছি। এখানে থেকে আমি নিজেই এখন অসুস্থ হয়ে পড়ছি। পঞ্চগড় থেকে আসা রোগী আমিনুল ইসলাম ও ঠাকুরগাঁও সদরের নূর ইসলামসহ কয়েকজন রোগী বলেন, মানুষজন নিরুপায় হয়ে এখানে ভর্তি হন। অথচ নেই কাঙ্ক্ষিত সেবার ব্যবস্থা। নার্স ও চিকিৎসকদের অনেকেই রোগীর সেবা বাদ দিয়ে খোশগল্পে মেতে থাকেন।
এ ব্যাপারে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. ইউনুস আলী জানিয়েছেন, জনবল সংকটটি দীর্ঘদিনের। নতুন করে কোনো জনবল নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। তবে শিগগিরই এ জটিলতা কেটে যাবে।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।