নিউজ ডেক্স
আরও খবর
দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল কোথায়!
ইরান দূতাবাসের ঢাকায় ‘দেশে নয়া ইসলামি সভ্যতা গঠনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
এই দেশে আর কোনো মাইনরিটি-মেজরিটির কথা শুনতে চাই না
মেয়াদ বাড়লো নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের
কম্বল কিনতে ৩৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে ত্রাণ মন্ত্রণালয়
মোংলা বন্দরে কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
ঢাকা ওয়াসায় পাস ব্যাতীত প্রবেশ নিষেধ
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন শুরু
প্রকৃতি থেকে শীত বিদায় নিচ্ছে ধীরে ধীরে। সঙ্গে প্রতিদিনই বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। গতবছরের মতো সংকটে না পড়তে সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিলেও বছরের শুরুতেই আসে ধাক্কা। কয়লার অভাবে বন্ধ হয়ে যায় দেশের অন্যতম বড় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র রামপালের উৎপাদন। ঋণপত্র খুলতে না পারায় বাধ্য হয়ে আমদানি বন্ধ করতে হয়। তবে এক মাসের মাথায় কয়লার সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ায় আবারও উৎপাদনে ফিরেছে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
আপাতত ৩০ হাজার টন মজুত নিয়ে উৎপাদনে ফিরল কেন্দ্রটি। আরও ৫০ হাজার টন কয়লা আসবে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি। এতে করে বর্তমান সংকট কাটবে। ঋণপত্র খুলতে জটিলতা তৈরি না হলে ভবিষ্যতে এ রকমটি হবে না বলে দাবি করেছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
কয়লা সংকটে গত ১৪ জানুয়ারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিটটি বন্ধ হয়ে যায়। তবে গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ৩০ হাজার টন কয়লা নিয়ে একটি জাহাজ রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আসে। যেটি বুধবার কেন্দ্রে নেওয়া হয়।
কয়লাবাহী আরেকটি জাহাজ ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি আসবে জানিয়ে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফ-পিসিএল) উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বলেন, কয়লার সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় আজ (বুধবার) বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির একটি ইউনিট চালু হচ্ছে। ৩০ হাজার টন কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে এসে পৌঁছেছে।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি একটি জাহাজ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে ভিড়েছে। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরেকটি কয়লাবাহী জাহাজ এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। কয়লা আমদানিতে এলসি জটিলতা এখন কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ৩০ হাজার টন কয়লা নিয়ে যে জাহাজটি এসেছে, সেই কয়লা দিয়ে মাত্র ৬ দিন কেন্দ্রটির একটি ইউনিট চালানো যাবে। কেন্দ্রটির একটি ইউনিট চালু রাখতে দৈনিক কয়লার প্রয়োজন পাঁচ হাজার টন। পরবর্তীতে ৫০ হাজার মেট্রিক টন কয়লাবাহী জাহাজটি এলে সেটি দিয়ে কেন্দ্রটি আরও ১০ দিন চালানো যাবে। ইন্দোনেশিয়া থেকে একটি জাহাজ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির জেটিতে ভিড়তে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগে।
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্র জানায়, গত ১৫ আগস্ট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করে। রাজধানীর বিদ্যুৎ সংকট দূর করতে গত ১৭ ডিসেম্বর রাত থেকে জাতীয় গ্রিডে কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। এলসি জটিলতায় কয়লা আমদানি ব্যাহত হওয়ায় কয়লা সংকটে গত ১৪ জানুয়ারি সকাল ৯টার দিকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। কেন্দ্রটিতে কয়লা মজুতের সক্ষমতা রয়েছে তিন মাসের। নিয়ম অনুযায়ী, এক মাসের কয়লা মজুত রাখার বাধ্যবাধকতা থাকলেও এতদিন কেন্দ্রটিতে কয়লার কোনো মজুত ছিল না।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ বিনিয়োগে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের দুই ইউনিটের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বাগেরহাটের রামপালে অবস্থিত। গেল ১৭ ডিসেম্বর থেকে এই কেন্দ্রের একটি ইউনিট জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে। এর উৎপাদনক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট। প্রতিদিন উৎপাদন করা হচ্ছিল ৫৬০ থেকে ৫৭০ মেগাওয়াট। আগামী জুনে দ্বিতীয় ইউনিটও বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাওয়ার কথা রয়েছে।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।