
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

দুঃসময়ে লিটনের পাশে থিসারা পেরেরা

কোহলির নট আউট বিতর্ক নিয়ে আইসিসি

লাল কার্ডের ম্যাচে ফের্নান্দেজের জোড়া গোলে কিংসের কাছে বিধ্বস্ত পুলিশ

লিটনকে আউট করে তাসকিনের আনন্দ

বিনিয়োগ করতে হবে ক্রিকেটে, কনসার্ট বা অন্য কিছুতে না: তামিম

সাড়ে তিন লাখ টাকা প্রাইজমানির টেনিসে অংশ নিচ্ছেন ২১০ খেলোয়াড়

অবিশ্বাস্য জয় নিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা
শামীমের ঝড়ো ব্যাটিংয়েও রক্ষা হলোনা চিটাগাং কিংসের

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) বদনাম ঘুচছে তাহলে। আগের দিনের দুটি ম্যাচের পর মঙ্গলবার প্রথম ম্যাচেও রান পেয়েছে দুটি দল। দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিলে খুলনা টাইগার্স ও চিটাগাং কিংস। আগে ব্যাটিং করে খুলনা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২০৩ রান সংগ্রহ করেছে। জবাবে শামীম হোসেন যেন আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু তার একার লড়াই চিটাগাংকে ম্যাচ জেতাতে পারেনি। দলটি ১৬৬ রানে অলআউট হলে খুলনা ম্যাচ জেতে ৩৭ রানে।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে খুলনাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় চিটাগাং। উইলিয়াম বোসিসটোর ৭৫ ও অঙ্কনের ৫৯ রানে ভর করে খুলনা ২০৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়। জবাবে ৫৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় চিটাগাং। টানা ৩ বলে ৩ উইকেট হারায় তারা। ৫৬ রানে তিন উইকেট থেকে স্কোর হয়ে যায় ৫৬ রানে ৬ উইকেট। নিশ্চিত পরাজয়ের ম্যাচটিতে কিছুক্ষণের জন্য হলেও চিটাগাংয়ের ভক্তদের মাঝে জয়ের আশা দেখাচ্ছিলেন শামীম হোসেন পাটোয়ারি। কিন্তু যোগ্য সঙ্গীর অভাবে তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং কোন কাজে লাগেনি। একপাশ থেকে শামীম খেললেও অন্য পাশ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যাটিংটা করতে পারেনি কেউই। ১৮.৫ ওভারে ১৬৬ রান তুলতেই চিটাগাং অলআউট হয়ে গেছে। তার আগে শামীম ৩৮ বলে ৭ চার ও ৫ ছক্কায় ৭৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ রান আসে ওসমান খানের ব্যাট থেকে।
খুলনার বোলারদের মধ্যে আবু হায়দার রনি সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নিয়েছেন। মোহাম্মদ নওয়াজ নিয়েছেন দুটি উইকেট। এছাড়া ওশানে থমাস, নাসুম আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ ও হাসান মাহমুদ নিয়েছেন একটি করে উইকেট। এদিকে, খুলনা টাইগার্সের ক্যারিবিয়ান পেসার ওশানে থমাস চারটি নো বলের সঙ্গে একটা ওয়াইড করে এক ওভারে রীতিমতো বিশ্বরেকর্ড গড়ে ফেলেছেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে খুলনার দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও বোসিসটো দারুণ শুরু পেয়েছেন। ৩৭ রানের জুটির পর আউট হন নাঈম শেখ (২৬)। তবে বিপিএলের অভিষেক ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন বোসিসটো। বিগ ব্যাশে পার্থ স্করচার্সের হয়ে খেলা এই ব্যাটার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। ওপেনিংয়ের মতো দুই, তিন ও চার নম্বরে নামা ব্যাটারদের সাথে জুটি গড়েছেন তিনি। ১১৭ রানে ৪ উইকেট পতনের পর পঞ্চম উইকেটে ৮৬ রানের জুটি গড়েন। তবে বোসিসটোর চেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন অঙ্কন। হাঁকিয়েছেন ৬টি ছক্কা। তার ২২ বলে ৫৯ রানের ইনিংসেরর কল্যাণে শেষ ৫ ওভারে ৮৪ রান তোলে খুলনা। তাতে দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ২০৩ রান। বোসিসটো ৩৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৫০ বলে ৭৫ রানে। ৮টি চার ও ৩টি ছক্কা হাঁকান তিনি। আর বিপিএলের শেষ চার ওভারে তৃতীয় ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৪২ রান করার রেকর্ড গড়েন অংকন। পাশাপাশি বিপিএলে বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডও গড়েছেন। তাই ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন অংকন।
চিটগাংয়ের আলিস আল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট পেয়েছেন।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।