নিউজ ডেক্স
আরও খবর
১৫ লাখের ছাগল বৃত্তান্ত !
বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্ব: বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা
এমপি খুন, নিষ্ঠুর সমাজ, মানিক সুনীলের ভালোবাসা
‘ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি’ ও ‘বাড়ি’ ফেরার ঈদ আনন্দ
ভারতের ১৮ তম লোকসভা নির্বাচন ও বাংলাদেশের বিভ্রান্ত বিরোধী দল
ভারতের গণতন্ত্র কি সঠিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ?
স্মার্ট বাজেট অথবা রূপকল্পের পথে
শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র রাজনীতি
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার একটি প্রশংসনীয় ও অনুকরণীয় কাজ করেছেন। তারা এদিন দুপুরে বুয়েট ক্যাফেটেরিয়ার সামনে সম্মিলিত কণ্ঠে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতির বিরুদ্ধে শপথগ্রহণ করেছেন।
শপথে শিক্ষার্থীরা বলেছেন, ‘আমরা প্রতিজ্ঞা করছি যে, এই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সকল প্রকার সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সম্মিলিতভাবে রুখে দেব। নৈতিকতার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সব ধরনের বৈষম্যমূলক অপসংস্কৃতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার আমরা সমূলে উৎখাত করব।’ শিক্ষার্থীদের এ সিদ্ধান্তকে আমরা এ কারণে প্রশংসনীয় ও অনুকরণীয় বলছি যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মূল যে কাজ অর্থাৎ শিক্ষা, তা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যাহত হয়। কখনো কখনো এসব কর্মকাণ্ড সমালোচনারও জন্ম দেয়।
অতীতে তেমন ঘটনা ঘটেছে। এটা ঠিক, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন পর্যন্ত ঐতিহাসিক যেসব ঘটনা ঘটেছে, তার পেছনে ছাত্রসমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। কিন্তু এরপর অনেক ঘটনাই দলীয় ছাত্র রাজনীতিকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। এমনকি ছাত্র রাজনীতির নানা কর্মকাণ্ড সমালোচিত হলে ২০০৯ সালের এপ্রিলে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন।
ছাত্র রাজনীতি যখন কোনো রাজনৈতিক দলের স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ারে পরিণত হয়, তখন সে রাজনীতির বৈশিষ্ট্য আর থাকে না। অতীতের ঐতিহাসিক ছাত্র আন্দোলন ও কর্মকাণ্ড ছিল দেশ ও জাতির স্বার্থে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তা দলীয় লেজুড়বৃত্তির ছাত্র রাজনীতিতে পর্যবসিত হয়ে নানা সহিংসতার জন্ম দেয়। ২০০২ সালে সাবিকুন্নাহার সনি, ২০১৩ সালে আরিফ রায়হান দীপ থেকে শুরু করে ২০১৯ সালের অক্টোবরে আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি উঠলেও বাস্তবে তা বাস্তবায়িত হয়নি। প্রতিষ্ঠানটির সাধারণ শিক্ষার্থীরা এর পেছনে বুয়েট কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বারবার।
বুয়েটকে দেশের সেরা বিদ্যাপীঠ হিসাবে বিবেচনা করেন অনেকে। বুয়েট থেকে শিক্ষাজীবন শেষ করে অনেকেই দেশে স্ব স্ব ক্ষেত্রে মেধার স্বাক্ষর রাখছেন। বিদেশেও প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে দেশের সুনাম বৃদ্ধি করছেন, রেমিট্যান্স পাঠিয়ে অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন অনেকে। এমন একটি বিদ্যাপীঠের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে হলে সব ধরনের দলাদলি ও সহিংসতা থেকে একে মুক্ত রাখা প্রয়োজন। শুধু শিক্ষার্থীরাই নন, শিক্ষকদেরও রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্টতা থেকে মুক্ত থাকতে হবে।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।