সরকারি চাকরিতে ঢুকলেই পেনশন স্কিম বাধ্যতামূলক – দৈনিক গণঅধিকার

সরকারি চাকরিতে ঢুকলেই পেনশন স্কিম বাধ্যতামূলক

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২১ মার্চ, ২০২৪ | ৫:০৩
আগামী ১ জুলাই বা তার পরবর্তী সময়ে যারা সরকারি চাকরিতে যোগদান করবেন তাদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ঢোকা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। তারা সবাই ‘প্রত্যয়’ স্কিমের অন্তর্ভুক্ত হবেন। সব স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা (নতুন যোগ দেওয়া) এই প্রক্রিয়ার অংশ হবেন। বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি মাসের ১৩ মার্চ সরকারের জারিকৃত এস.আর.ও. নং-৪৭-আইন/২০২৪ এর মাধ্যমে সব স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানসমূহের চাকরিতে যেসব কর্মকর্তা বা কর্মচারী ১ জুলাই ও তৎপরবর্তী সময়ে নতুন যোগদান করবেন তাদেরকে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া, গত ১৩ মার্চ জারিকৃত এস.আর.ও. নং-৪৮-আইন/২০২৪ এর মাধ্যমে উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য প্রত্যয় স্কিমের রূপরেখা ঘোষণা করা হয়েছে। প্রত্যয় স্কিম চালুর ফলে এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর বিদ্যমান কর্মকর্তা/কর্মচারীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না এবং তাদের বিদ্যমান পেনশন/আনুতোষিক সুবিধা অক্ষুন্ন থাকবে। তবে যাদের ন্যূনতম ১০ বছর চাকরি অবশিষ্ট আছে তারা আগ্রহ প্রকাশ করলে প্রত্যয় স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রত্যয় স্কিমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে অবসর জীবনে মাসিক পেনশন প্রাপ্য হবেন বিধায় ১ জুলাই ও তৎপরবর্তী সময়ে নতুন যোগদানকৃত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিদ্যমান ব্যবস্থায় খুব কম সংখ্যক স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীন অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোর পেনশন স্কিম চালু রয়েছে। এ ধরনের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীরা আনুতোষিক স্কিমের আওতাভুক্ত এবং তাদের জন্য সিপিএফ ব্যবস্থা প্রযোজ্য। এ ব্যবস্থায় কর্মচারীরা চাকরি শেষে অবসর সুবিধা হিসেবে এককালীন আনুতোষিক প্রাপ্য হন, কিন্তু মাসিক কোনো পেনশন প্রাপ্য হন না। এর ফলে অবসরোত্তর জীবনে প্রায় ক্ষেত্রেই আর্থিক অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হন। কর্মচারীদের অবসরোত্তর জীবনের আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা দিতে বিদ্যমান ব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে সরকার ‘প্রত্যয় স্কিম’ প্রবর্তন করেছে। প্রত্যয় স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর প্রাপ্ত মূল বেতনের ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা। যা কম হয় তা কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বেতন হতে কর্তন করা হবে এবং সমপরিমাণ অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে দিতে হবে। উভয় অর্থ এই প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত উক্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীর কর্পাস হিসাবে জমা করবে। এ প্রক্রিয়ায় এই কর্মকর্তা-কর্মচারীর পেনশন ফান্ড গঠিত হবে এবং উক্ত ফান্ড জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক লাভজনক খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রাপ্য মুনাফা এবং চাঁদা হিসেবে জমাকৃত অর্থের ভিত্তিতে পেনশন প্রদান করা হবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আর জানানো হয়, সিপিএফ ব্যবস্থায় কর্মচারী মূল বেতনের ১০ শতাংশ এবং প্রতিষ্ঠান মূল বেতনের ৮.৩৩ শতাংশ দিয়ে থাকে। প্রত্যয় স্কিমে প্রতিষ্ঠান প্রদান করবে মূল বেতনের ১০ শতাংশ যা সিপিএফ ব্যবস্থা থেকে ১.৬৭ শতাংশ বেশি। প্রত্যয় স্কিমে একজন ব্যক্তি একটি প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর মাসিক ২ হাজার ৫০০ টাকা নিজ বেতন থেকে এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে একই পরিমাণ টাকা ৩০ বছর চাঁদা প্রদান করলে তিনি অবসর গমনের পর অর্থাৎ ৬০ বছর বয়স থেকে মাসিক ৬২ হাজার ৩৩০ টাকা হারে পেনশন প্রাপ্য হবেন। এক্ষেত্রে ৩০ বছর ধরে মাসিক ২ হাজার ৫০০ টাকা হারে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর নিজ বেতন থেকে প্রদত্ত মোট চাঁদার পরিমাণ ৯ লাখ টাকা এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত মোট চাঁদার পরিমাণ ৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট কর্মচারী মিলিয়ে সর্বমোট চাঁদার পরিমাণ হবে ১৮ লাখ টাকা। তিনি যদি ৭৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তবে ১৫ বছরে পেনশন প্রাপ্য হবেন ১ কোটি ১২ লাখ ১৯ হাজার ৪০০ টাকা। যা সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর নিজ জমার ১২.৪৭ গুণ। আজীবন পেনশন প্রাপ্য হবেন বিধায় এ পরিমাণ আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিনিয়োগ হতে প্রাপ্য মুনাফার হার বৃদ্ধি পেলে মাসিক পেনশনের পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পাবে। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের যাবতীয় খরচ সরকারের নির্বাহ করা হবে বিধায় চাঁদাদাতার কর্পাস হিসাবে জমাকৃত অর্থ এবং বিনিয়োগলব্ধ আয় সম্পূর্ণ চাঁদাদাতার অ্যানুইটি হিসাবায়নের মাধ্যমে মাসিক পেনশন নির্ধারিত হবে। জমাকৃত চাঁদার উপর বিনিয়োগ রেয়াত পাওয়া যাবে এবং প্রাপ্য পেনশন আয়করমুক্ত হবে। স্কিমটি রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টিযুক্ত হওয়ায় এটি শতভাগ ঝুঁকিমুক্ত ও নিরাপদ। এ স্কিমে নিবন্ধিত কর্মচারী পেনশনযোগ্য বয়সে উপনীত হওয়ার পরবর্তী মাস থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মাসিক পেনশনের অর্থ পেতে থাকবেন, যা তাকে মোবাইল এসএমএস এর মাধ্যমে অবহিত করা হবে। এক্ষেত্রে তাকে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোনো দপ্তরে যাওয়ার বা কোনোপ্রকার প্রমাণক দাখিলের প্রয়োজন হবে না। প্রত্যয় স্কিমটি নতুন কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য আকর্ষণীয় এবং আর্থিক নিরাপত্তা বিধানে কার্যকর।

দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
নারায়ণগঞ্জে শ্রমিকদের বিক্ষোভে সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট চলতি বছরের জুলাই মাসের মধ্যেই সংসদ নির্বাচন সম্ভব: বিএনপি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ কিছু মানুষ ঐক্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছেন: মির্জা ফখরুল দৌলতপুরে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত লাকসামে ইউএনওর বাদলির আদেশ প্রত্যাহার দাবিতে মানববন্ধন নাটোরে কাঠের বক্সে ৪ কেজি গাঁজা ডিএনসি’র রাজশাহী চৌকস দলের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন দুই জন বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত অস্থির চালের বাজার দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল কোথায়! খালেদা জিয়া আজ লন্ডন যাচ্ছেন বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাজারে হইচই নারায়ণগঞ্জে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান, ১৫ লাখ টাকা জরিমানা ইউক্রেনে শতাধিক ড্রোন হামলা চালাল রাশিয়া ভ্যাট বাড়ালেও নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে না হাহাকার বাসাবাড়ি শিল্পকারখানায় ইসরাইলের হামলায় গাজায় নিহত আরও ৮৮ কুমারখালীতে দুর্ধর্ষ চুরি,টার্গেট ব্রাক অফিস,১০ লক্ষ্য টাকার মালামাল লুট। শেরপুরে ৬৫০ বোতল ভারতীয় মদসহ আটক ১ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় র‌্যাব-১১ এর রোবাস্ট পেট্রোল কার্যক্রম জোরদার