
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই বাজেট দিয়েছে সরকার: বিএনপি

নির্বাচন ইস্যুতে সরকার ও বিএনপির দূরত্ব কি তিক্ততার দিকে যাচ্ছে?

ভিপি নুরকে নিয়ে ডিএনসিসির অভিযোগ সত্য নয়: গণঅধিকার পরিষদ

‘বিতর্কিত উপদেষ্টাদের’ পদত্যাগে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ইশরাকের

নির্বাচন বিলম্বিত হলে অস্থিরতা বাড়বে: আমির খসরু

‘দিল্লীর গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি পিন্ডির দাসত্ব করতে নয়’

আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ, রয়েছে যেসব সংগঠন
জনগণের প্রত্যাশার বাইরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করলে মানুষ মেনে নেবে না

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই— ড. ইউনূস সাহেব একজন গুনি মানুষ। জুলাই-আগস্টের মহাবিপ্লবের পর প্রত্যেকেই তাকে সমর্থন দিয়েছেন। মানুষ তার ওপরে আস্থা রাখে। কিন্তু জনপ্রত্যাশা, জনআকাঙ্খার বাইরে গিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অন্য এজেন্ডা নিয়ে কাজ করলে দেশের মানুষ মেনে নেবে না।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকালে রাজশাহী জেলা পরিষদ মিলানায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের বিভাগীয় কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, এখনও চাল, ডাল, চিনির দাম কমেনি। সোনালি মুরগী ৩২০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা হয়েছে। আমাদের দেশে আলু উৎপাদন হতো; মৌসুমে আলুর দাম তিন থেকে চার টাকায় পাওয়া যেতো। কিন্তু শেখ হাসিনার কারণে গত মৌসুমে ভারত থেকে আলু আমদানি করতে হয়েছে। এবারও যদি আমদানি করতে হয়। কেজি প্রতি আলুর দাম ৭৫ থেকে ৮০ টাকা হয়। তাহলে মানুষ বলবে— ড. ইউসূন সাহেবের সরকারকে সমর্থন দিয়ে লাভ কী হলো।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটি কথা কেউ কেউ বলছেন, আনুপাতিক হারে নির্বাচন। আনুপাতিক নির্বাচন কীসের জন্য— এটা কী মানুষ বোঝে? তৃণমূলের মানুষ বোঝে? আনুপাতিক কী? একটা রাজনৈতিক দলকে মানুষ ভোট দেবে। এখন সেই দল ঠিক করবে কাকে এমপি বানাবে। তাহলে তো কেনা-বেচা আরও শুরু হবে। দলে একজন ব্যক্তির জনপ্রিয়তা থাকতে পারে। তার ব্যক্তিরও জনপ্রিয়তা থাকে। দুইটা মিলেই তো একজন ব্যক্তি বিজয়ী হন। আর এই দেশের মানুষ পছন্দের ব্যক্তিকে ভোট দিতে অভ্যস্ত। সে তার পছন্দমতো ব্যক্তিকে ভোট দেবে। এই ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার অধিকার কারও নেই।
যেসব রাজনৈতিক দলের ভোটের সংখ্যা কম, তারা আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থার কথা বলেছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, যারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চান; যাদের ভোটের সংখ্যা বেশি নয়, তারা এটা একটা কৌশল হিসেবে নিয়েছেন। এটা দেশের মানুষ মেনে নেবে না। এই ধরনের কোনও পদ্ধতি নিয়ে যদি আপনারা ষড়যন্ত্র করেন, এই ষড়যন্ত্র কিন্তু মানুষ ধ্বংস করে দেবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান বিশ্বাস, বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ শাহীন শওকত, বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, ওলামা দলের আহ্বায়ক কাজী মাওলানা মো. সেলিম রেজা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, মহানগরের আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন ওলামা দলের জেলার আহ্বায়ক তাজ উদ্দিন খান। এছাড়াও রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলার জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।